জমে উঠেছে তেজ-সুধার প্রেম পর্ব ❗ এপিসোড কিন্তু একেবারেই মিস করবেন না

স্টার জলসার (star jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো শুভ বিবাহ(Subhobibaho)। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে,সুধা ডিভোর্সী (divorce) এই কথাটা জানার পর‌ও কেন ‌সে সুধাকে বিয়ে করল- এইসব বিষয় নিয়ে সুধা তেজ যখন আলোচনা করছিল,তখন তেজের কাকু মণি সবটা শুনতে পেয়ে যায় আর তিনি তেজকে যখন জিজ্ঞেস করেন তখন তেজ কাকুমণিকে বোঝানোর জন্য তাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে যান।

শুভ বিবাহ ২৭শে আগস্টের পর্বের আপডেট/subhobibaho 27 August episode –

তেজ কাকুমণিকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বলে যে, সে যখন সুধা ডিভোর্সি এটা জানতে পেরেছিল তখন আর কিছু করার ছিল না। বিয়ের মন্ডপের আগে সে যখন সবটা জানতে পেরেছিল, তখন যদি সে বিয়েটা ভেঙে দিত তাহলে সবাই তাকে ভুল বুঝত। পরিবারের মান সম্মানের প্রশ্ন ছিল। তাই সে বিয়েটা করতে বাধ্য হয়। কিন্তু কাকু মণি উল্টে তেজকে বুঝিয়ে দেয় যে,বাধ্য হয়ে নয়, ভালোবেসেই এই কাজ করেছে তেজ।

Divorce

কাকুমনি তেজকে বোঝায়, সুধা ডিভোর্সি বলে কি তার সমস্ত গুণ ফিকে হয়ে গেল? ইমনের সাথে থাকা যায় না এটা বুঝতে পেরেই তো তেজ ইমনের থেকে দূরে সরে এসেছিল এবং নিজে আর বিয়ে করতে চায় নি। এরপর তার মা সুধাকে পছন্দ করলেও তেজ‌ও কিন্তু সুধাকে পছন্দ করেই এই বিয়ে করেছে। কারণ তেজ সুধাকে ভালবাসে, কাকুমনি তখন বলে তেজ যখন সুধাকে ভালোইবাসে তখন সে ডিভোর্সি কিনা তাতে কি যায় আসে?

এক‌ইসাথে কাকুমণি আর‌ও বলে যে, তেজ কোন‌ও ভুল করেনি। বরং সে এই প্রথমবার বসুমল্লিক বাড়ির বড় নাতির মতো একটা কাজ করেছে। তেজের জন্য কাকুমনির গর্ব হয়। একই সাথে কাকুমণি বলে যে, সুধা ভালো একজন মেয়ে, সুধার মধ্যে অনেক গুন আছে সুধা পারবে এই পরিবারটাকে বেঁধে রাখতে এবং ঠাম্মার মধ্যে যে কু সংস্কারগুলো আছে সেগুলো থেকে ঠাম্মাকে বার করতে। কাকুমণি আর‌ও বলেন, তেজ যেন সুধাকে ভালোবাসাটা আর না ছাড়ে। কারণ সুধা খুব ভালো মেয়ে তাই সুধাকে ভালো রাখার দায়িত্বটাও তেজের।

অন্যদিকে সুধা বাগান সাজাতে সাজাতে এবং বাগানের টব গুলো সাজাতে সাজাতে ভাবতে থাকে তেজ এসে সাহায্য করছে।‌ কিন্তু এই সবটা আসলে স্বপ্ন। অন্যদিকে তড়িতা ভাবে, সে তো দরজা ভেতর থেকে লাগিয়ে দিয়েছে তাহলে দিদিভাই বোধহয় এতক্ষণে মরে পড়ে থাকবে। ওদিকে তেজ ভাবতে থাকে সুধা কেন এখন‌ও আসছে না? সে ছাদে গিয়ে দেখে দরজা বন্ধ, তখন সে ভাবে তাহলে সুধা বোধহয় চলে গেছে। কিন্তু সুধা তো ওখানে আটকা পড়ে গেছে, কিছুতেই দরজা খুলতে পারেনি তাই ওখানে বসে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে দেখা যায় বিজিত যখন ইমনকে বলে, ওই মেয়েটা আর তত্ত্ব সাজানোর কাজ করবে না তখন ইমন খুব রেগে যায়। ইমন বলে, যেই প্রশংসা শুরু হলো অমনি কাজ করা বন্ধ হয়ে গেল। ঠিক আছে নাম্বারটা আমাকে দাও। কিন্তু বিজিত বলে, নাম্বার দেওয়া বারণ আছে। অন্যদিকে দেখা যায় যে, তেজ যখন সুধাকে কোথাও খুঁজে পেলো না, তখন সে দেখতে পেল সুধা ছাদের মধ্যে আটকা পড়ে গেছে‌। সেখানে গিয়ে তেজ দেখলো সুধার গায়ে খুব জ্বর। এরপর সুধাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে তেজ সেবা করে এবং সুধার ভিজে কাপড় সে নিজেই পরিবর্তন করে দেয়।

আরও পড়ুন: ঘরেই বাস করছে কালনাগিনী! রাইয়ের সর্বনাশের নেপথ্যে নীলু? দিদিকে শিক্ষা দিতে নতুন ফাঁদ পাতলো নীলাঞ্জনা!

আবার তেজ কাকু মণির কথা গুলোও ভাবতে থাকে যেগুলো ভেবে ভালো লাগে তেজের। সুধা এরপর ঞ্জান ফিরে জানতে পারে তেজ তার কাপড় বদলিয়েছে তখন সে লজ্জায় পড়ে যায়!