সৎ প্রেমিকের আগেও সৎ মানুষ ডোডো! কাউকেই ঠকায়নি বরং প্রাক্তনের টান ভুলে বর্তমানকেই সম্মান দিচ্ছে! মেয়েরা এমন স্বামীই খুঁজছে
স্টার জলসার পর্দায় এই মুহূর্তে দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয় ধারাবাহিক হচ্ছে মেয়েবেলা। বাস্তব সম্মত বিভিন্ন দৃশ্য, তুখোড় অভিনয়ে এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে রাজত্ব করছে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যাবে এই ধারাবাহিকের প্রশংসায় মুখর দর্শকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকটিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। কিন্তু নারী নির্যাতন দেখানোর অভিযোগ তুলে এই ধারাবাহিক ছেড়ে দেন তিনি। এরপর তার জায়গায় আসেন অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস। কিন্তু তিনি আসার পরেও টিআরপি তালিকায় বিশাল কিছু প্রভাব পড়েনি বরং নম্বর কমেছে।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে মাত্র পাঁচ মাসেই নাকি বন্ধ হতে চলেছে ধারাবাহিক মেয়েবেলা। এই খবরে যথারীতি মুষড়ে পড়েছিলেন দর্শকরা। কিন্তু জানা গেছে না এক্ষুনি বন্ধ হচ্ছে না মেয়েবেলা। বরং গল্পে আসছে ভিন্ন টুইস্ট। এরই মধ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে বিথী চরিত্রটির মধ্যে। আর যা ভালো লেগেছে দর্শকদের। আগে বিথী নেগেটিভ এবং চাঁদনী পজেটিভ চরিত্র হিসেবে ধরা দিলেও এখন উল্টোটা হচ্ছে।
এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা জানেন বিশ্বাসঘাতক তকমা পাওয়ার পর মৌ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেয়নি বিথী, কিন্তু সে আর বীথিদের সঙ্গে থাকেনা। সে থাকে একতলায়। কিন্তু এইভাবে মৌ-ডোডো-বীথি কেউই ভালো নেই। মৌয়ের চিন্তায় পাগলপ্রায় অবস্থা ডোডোর। কোথাও মৌয়ের প্রতি তাঁর ভালোলাগা তৈরি হয়ে গেছে। আর তাই মৌয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের প্রসঙ্গ উঠলেই কষ্ট পাচ্ছে সে।
মৌ আর ডোডোর এই বিচ্ছেদের মাঝখানে ঢুকে পড়েছে ডোডোর প্রাক্তন প্রেমিকা চাঁদনী।ডোডো চাঁদনীর ডাকে সারা দিতে না চাইলেও ডোডোকে প্রায় জোর করেই বাইরে নিয়ে যায়। চাঁদনী। মৌকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে গেলে, ডোডো তাকে বলতে দেয়না, উল্টে চাঁদনীকে কথা শোনায়। আসলে মৌয়ের ব্যাপারে কোনরকম খারাপ কথা শুনতে নারাজ সে।
কিন্তু অন্য দিকে মৌ সব রকম স্বার্থত্যাগের জন্য প্রস্তুত। সে ডোডোর জীবন থেকে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠেছে। তাঁর কাছে এই বিয়ের আর কোনও মানেই নেই। নিজের মনের কষ্টকে নিজের মনেই অবদমিত করে মৌ বলে ডিভোর্স তো হওয়ারই ছিল। কিন্তু মৌকে ছাড়ার কষ্ট ভেতরে ভেতরে কুরে কুরে খাচ্ছে খাচ্ছে ডোডোকে।
উল্লেখ্য, বাড়ির একতলাটা ফিরে পাওয়ার জন্য চাঁদনীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে ডোডো। অন্যদিকে মৌয়ের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরে ডোডোর সঙ্গে সুখী দাম্পত্যের স্বপ্ন দেখার শুরু করে দিয়েছে চাঁদনী। আর তাই চাঁদনী বাবার সামনে দাঁড়িয়েই চাঁদনীকে যোগ্য জবাব দিল ডোডো। স্পষ্ট জানালো, সে বিবাহিত। আর ভবিষ্যতে যদি মৌকে সে ডিভোর্স দেয় তাহলে সেটা সম্পূর্ণভাবে তাঁর এবং মৌয়ের ব্যক্তিগত ব্যাপার হবে। আর একজন বিবাহিত পুরুষ হয় অন্য একটি মেয়েকে সুখী সংসারের স্বপ্ন দেখাতে পারবে না সে। যেখানে আজকাল বিভিন্ন ধারাবাহিকে পরকীয়ার ঝড় উঠেছে সেখানে দাঁড়িয়েই এমন একজন সৎ নির্ভীক পুরুষ মন কাড়ছে দর্শকদের।