বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এখন যে ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে রাজত্ব করছে সেই ধারাবাহিকটির নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । বাংলা টেলিভিশনপ্রেমীদের কাছে এখন এই ধারাবাহিকটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে। বাঙালি দর্শকরা এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি দেখার প্রতি এখন এক আলাদাই উত্তেজনা বোধ করছেন।
বহু মানুষের কাছেই বাস্তবধর্মী এই ধারাবাহিকটি বিশেষ রকমের জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বহু মানুষই এই ধারাবাহিকের গল্পের সঙ্গে ব্যক্তি জীবনের মিল খুঁজে পেয়েছেন। আর সেই কারণেই এতটা সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিকটি। বাংলা টেলিভিশনপ্রেমীরা এই ধারাবাহিককে বিশেষ কদর দেওয়ার কারণেই এই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় এতটাই সাফল্য পেয়েছে। চলতি সপ্তাহে টিআরপি অনুযায়ী পঞ্চম স্থানেই রয়েছে এই ধারাবাহিকটি।
প্রাথমিক পর্যায়ে বধূ নির্যাতন, নারী নির্যাতনের গল্প দেখানো হয়েছিল এই ধারাবাহিকে। কিন্তু এই ধারাবাহিকের মূল প্রেক্ষাপট ছিল এক নারীর পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার গল্প। না সেটা শুধুমাত্র শিমুল তার পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেবে এমনটা নয়, প্রত্যেকটা বয়সের মানুষই নিজের বন্ধুদের কাছে মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার গল্প ফুটে উঠছে এই ধারাবাহিকে।
আগে নিজেকে অচলায়তনে বেঁধে রেখেছিলেন শিমুলের শাশুড়ি। নিজে শ্বশুর বাড়িতে অত্যাচারিত হয়েছিলেন বলে নিজের ছেলের বউয়ের উপরেও সেই অত্যাচার করতে চেয়েছিলেন তিনি। করছিলেনও তেমনটাই। আর তার জন্য দর্শকদের কাছে কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি। কিন্তু ধীরে ধীরে গল্প বদলেছে। শিমুলের শাশুড়ি নিজের বাইরের কঠিন অবয়বকে ভেঙে চুড়ে আসল মানুষটাকে বার করে আনতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অবদান শিমুলের।
যে শিমুলকে আগে তিনি সহ্য করতে পারতেন না এখনও সেই শিমুলই হয়ে উঠেছে তার সবথেকে কাছের মানুষ। মনের কথা বলার সঙ্গী। যদিও শুনে নেই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে চলেছে পরাগ-পলাশ। কিন্তু সেই সবকিছুকে তোয়াক্কা না করেই জীবনকে নতুন ভাবে উদযাপন করছেন সে শিমুলের শাশুড়ি। পাড়ার পুজোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ঠাকুর আসতেই ঠাকুর বরণ করে উত্তাল নাচে মেতেছেন তিনি ও তার সমবয়সী বন্ধুরা। আচ্ছা দেখে চমকে উঠেছে শিমুল ও তার পাড়ার বন্ধুরা। মধ্য বয়সে পৌঁছে জীবন উদযাপনের এই গল্প নজর কেড়েছে দর্শকদের।