ছকভাঙা কনসেপ্ট,ভালো কাস্টিং তারপরেও কেন টিআরপি তালিকায় ধুঁকছে এই চার বাংলা সিরিয়াল? আক্ষেপ নেটিজেনদের
সিরিয়াল মানেই যে শুধু হিন্দি সেটা নয়, আজকাল সমান পাল্লা দিচ্ছে বিভিন্ন বাংলা চ্যানেলগুলোর ধারাবাহিক। একটা সময় ছিল যখন বাংলা সিরিয়ালে নানা সামাজিক বিষয় স্থান পেত। কিন্তু তারপর যুগ পাল্টেছে। সেখানে এসেছে সাংসারিক কূটকাচালি, পরকীয়ার মত বিষয়। তবে এগুলি এখন বেশ ভালো যে চলছে তার প্রমাণ টিআরপি।
তবে কিছু কিছু সমাজ সচেতন মানুষের আবার এগুলি পছন্দ নয়। তাদের প্রশ্ন এর থেকে সমাজে কী বার্তা পৌঁছাচ্ছে? ইদানিং বাংলা ধারাবাহিকের কনটেন্ট পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়, এমনটাই মনে হচ্ছে দর্ষকদের একাংশের।
কিন্তু দেখতে গেলে যেইসব ধারাবাহিকে এই কূটকাচালি, পরকীয়া দেখানো হয় সেগুলিই এগিয়ে থাকে। এগুলো ছাড়া টিআরপি জুটবে কি? স্টার জলসা এবং জি বাংলাতে গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক নতুন ধারাবাহিক এসেছে যেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটা হিট হয়ে গেছে এর মধ্যেই।
জি বাংলায় জায়গা করে নিয়েছে ‘লালকুঠি’ আর ‘খেলনা বাড়ি’ এবং স্টার জলসাতে ‘গোধূলি আলাপ’, ‘বৌমা একঘর’ বেশ ভালো ফল করছে। কুটকাচালি-পরকীয়া বাদে বাংলা টেলিভিশনে যে টিআরপি ওঠে না সেটা কিন্তু আবার প্রমাণিত।
নতুন ধারাবাহিকগুলোর বিষয়বস্তু একে অপরের থেকে অনেকটাই আলাদা। ‘গোধূলি আলাপ’ এ যেভাবে অসমবয়সী মিষ্টি দাম্পত্যের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেটা অনেকেরই ভালো লাগে। আইনজীবী আর বহুরূপী দুটি ভিন্নধর্মী পেশার মানুষ একসঙ্গে থাকছে এটা বিরল। তার উপর আবার কৌশিক সেন, সোহাগ সেনের মত নামি অভিনেতারা কাজ করছেন। কিন্তু কোথাও গিয়ে টিআরপিতে জায়গা পায়নি ধারাবাহিকটি।
‘বৌমা একঘর’ এর কাহিনীতে এমন দুটি ছেলে-মেয়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে যারা জীবনে কিছু করতে পারেনি। কিন্তু কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে রয়েছে তাদের। কমেডি-ড্রামা নির্ভর ধারাবাহিকটিও প্রত্যেকবার টিআরপি তালিকাতে নিজেকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
‘লালকুঠি’ কোনও বার সেরা দশে জায়গা পায়, কোনও বার ছিটকে যায়। অথচ রাহুল-রুকমার জুটিতে রহস্য-রোমাঞ্চ নির্ভর এই ধারাবাহিক হিট হওয়ার কথা। যেখানে এই জুটি এখন এমনিতেই হিট। তাই চিরাচরিত ছকের বাইরে বেরিয়ে কিছু করতে গেলেই মার খাচ্ছে ধারাবাহিক। সেই লোকসানের দায় কে নেবে? তাই যতদিন না দর্শকদের নিজেদের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে, ভাল কনটেন্টের ধারাবাহিক না আসাটাই স্বাভাবিক।