স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। সূর্য-দীপারে সম্পর্কের টানাপড়েন ও তাদের পরিবার নিয়ে ধারাবাহিকের গল্প। পারিবারিক ড্রামা ঘরানার এই গল্পে রয়েছে নারীকেন্দ্রিক আঙ্গিক। গল্পের নায়িকা দীপার জীবন সংগ্রাম অনুপ্রাণিত করে ধারাবাহিকের দর্শকদের।
বর্তমানে ধারাবাহিকের প্রতি পর্বে চলছে টান টান উত্তেজনা। ভিক্টর সু’ই’সা’ই’ড করেছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দেয় তার। অর্জুন তাকে রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচিয়ে তোলে। তবে ভাই হিসেবে ভিক্টরকে রক্ত দেয়নি অর্জুন। দিয়েছে ডাক্তার হিসেবে এক মুমূর্ষু রোগীকে।
এদিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কাকীয়া ও দীপা কথা কাটাকাটি হয়। ফের একবার কাকীয়া প্রমাণ করেছেন মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু। কাকীয়া চান তিস্তা সব ভুলে ভিক্টরকে আপন করে নেয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা থাকতেই পারে। তা বলে, বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়া কোনো সমস্যার সমাধান নয়। তাই তিস্তা যেন কেস তুলে, স্বামীর সঙ্গে সব মিটমাট করে নেয়।
তবে এতদিন ভিক্টরের মার একা বরদাস্ত করে এসেছে তিস্তা। সে হাড়ে হাড়ে ভিক্টরকে চিনে গেছে। তাই হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও সে কোনোদিনও শুধরে যাবে না। এ নিয়ে মা মেয়ের মধ্যে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি লেগে যায়। তিস্তা সাফ তার মাকে জানায় কোনো কেস সে তুলবে না। আর এবার থেকে সে বউদিদি আর অর্জুনের সঙ্গে থাকবে।
আরো পড়ুন:“আক্ষেপ নিয়েই মরতে হবে…” কেন সিরিয়ালে আর দেখা যায়না তাকে? মুখ খুললেন অভিনেত্রী খেয়ালী দস্তিদার!
সেনগুপ্ত বাড়িতে এসে নিজের যাবতীয় পোশাক আশাক গুছিয়ে নেয় তিস্তা। তিস্তাকে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে সমর্থন করে উর্মিও। তিস্তা জানায় অর্জুনের ইনস্টিটিউটে চাকরি করবে সে। নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াবে। কারোর উপর নির্ভরশীল হবে না আর। কাকীয়া তিস্তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জন্য দায়ী করেছে দীপা।