ঋদ্ধির কথায় অবশেষে নিজের ভেতরের খড়িকে খুঁজে পেল ঈশা!এবার অপেক্ষার অবসান! তাহলে কি শীঘ্রই ‘ডি’এর চক্রান্ত ফাঁস হচ্ছে?

বর্তমানে স্টার জলসা একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘গাঁটছড়া’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা গৌরব চ্যাটার্জি এবং অভিনেত্রী সোলাঙ্কি রায়কে। প্রথম থেকেই খড়ি ঋদ্ধির জুটি মানুষের মনে রাজ করে এসেছে । তবে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে এই জুটি ভেঙ্গে গেছে। কিছুদিন আগে দেখা গেছে খড়ি এবং ঋদ্ধি তাদের বাড়ির অষ্টধাতুর মূর্তি খুঁজতে এক জঙ্গলে গিয়েছিল এবং সেখানে গিয়ে ‘ডি’ এর চক্রান্তে তারা দুজন আলাদা হয়ে যায়।

Bengali television
তখন থেকে সবাই মনে করতে শুরু করে যে খড়ি মারা গেছে। তারপরে ধারাবাহিকে নেওয়া হয় এক বছরের লিপ। এই লিপের পর দেখা যায় খড়ির মতো দেখতে আরো একটি চরিত্র এসেছে কিন্তু সে নিজেকে ঈশা বলে দাবি করতে শুরু করে। কিন্তু উল্টোদিকে ঋদ্ধিমান মনে মনে ভাবে যে এটা ঈশা নয় এটা আমার খড়ি। আর সে যে কোন উপায়ে ঈশার কাছাকাছি থেকে তাকে সবকিছু মনে করানোর চেষ্টা করতে থাকে।

এদিকে দেখানো হচ্ছে ঈশা চাইছে যেকোন উপায়ে সিংহ রায় জুয়েলার্স এবং ঋদ্ধিমান সিংহ রায়ের ক্ষতি করতে। সম্প্রতি সে তাদের ব্যবসা এবং বাড়ি সবকিছু হাতিয়ে নিয়েছে। এবং আসন্ন পর্বে দেখা যাচ্ছে যে ঈশা সিংহ রায় জুয়েলার্সের অফিসে গিয়ে ঋদ্ধিমান যে চেয়ারে বসতো সেই চেয়ারে বসে পড়েছে এবং ঋদ্ধিমানকে বলেছে সে আজ থেকে তার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

Bengali television
এই কথা শোনার পরে ঋদ্ধিমান কিছুটা অবাক হলে মনে মনে কিন্তু খুশি হয়। তার কারণ সে মনে করতে থাকে যে এবার সে আরো বেশি কাছাকাছি থাকতে পারবে ঈশার। তখন সে ঈশাকে বলে যে আমি তো আপনার পিএ’ই ছিলাম আর এমনকি আমি আপনার পিএ’ই হতে চেয়েছিলাম। তখন ঈশা তাকে বলে আপনি এসব কি বলছেন? তারপরেই ঋদ্ধিমান ঈশাকে বলে যে আপনি বুঝতে পারছেন আপনি কি করছেন!

আপনি আস্তে আস্তে সিংহ রায় জুয়েলার্সের হাল ধরছেন। আমি এতদিন যেটা করতে পারিনি আপনি সেটা করে দেখাচ্ছেন। আপনি এখন চাইলেও এই সিংহ রায় জুয়েলার্স এর ক্ষতি করতে পারবেন না। আর এটাই তো আমি চেয়েছিলাম। তখন ঈশা বলে যে আপনি এটা কী বলছেন? আমি আপনাদের ক্ষতি করতে এসেছি কিন্তু ঋদ্ধিমান বলে যে আপনি চাইলেও সিংহ রায় জুয়েলার্সের ক্ষতি করতে পারবেন না। যার কারণ আমার খড়ি কখনোই সিংহ রায় জুয়েলার্স এর ক্ষতি চাই নি। সে নিজের হাতে সিংহ রায় জুয়েলার্সকে সাজাতে চেয়েছিল আর আপনি এখন সেটাই করছেন।

ঋদ্ধিমানের এই কথাগুলো শোনার পরে ঈশার আস্তে আস্তে মনে হতে থাকে যে সত্যিই তো আমি তো চেয়েও কোনোভাবে সিংহ রায়দের ক্ষতি করতে পারছি না। আমার কেন মায়া হচ্ছে এই মানুষগুলোর জন্য! তারপরেই অফিসে থাকা খড়ির একটা ছবি তার হাতে পরে সে তখন সেই ছবিটা দেখে ভাবে যে এই মেয়েটার সঙ্গে আমার এত মিল। আর যা গল্প শুনেছি সে শুনেও মনে হচ্ছে যে এই মেয়েটার ভাবনা চিন্তার সঙ্গে আমার ভাবনা চিন্তার অনেক মিল রয়েছে। সত্যিই কী আমি খড়ি? আসল সত্যিটা আমাকে বের করতেই হবে। তবে কি এবার আস্তে আস্তে ঋদ্ধির কথায় ঈশা তার হারানো স্মৃতি ফিরে পাচ্ছে! জানতে হলে পরবর্তী দিনেই চোখ রাখতে হবে ‘গাঁটছড়া’তে।