মিটিল প্রতিটা কথায় অপমান করে ধুয়ে দিল অনন্যাদের। স্টার জলসা চিরসখা ধারাবাহিক আজকের পর্বে দেখা যাবে, অনন্যা ক্রমাগত তার বন্দি অর্থাৎ ডলকে বুঝিয়ে যাচ্ছে সে যেনো কমলিনীর সঙ্গে কথা বলে। ডল কমলিনীকে বলবে, সে যেনো নতুনদাকে বিয়ের জন্য বোঝায়।
অনন্যা এমন কথাও বলে, কমলিনী যদি বাইরে কোথাও দেখা করতে আছি তার বাড়িতে দেখা করতে চায় তাহলে সবার সামনে গিয়েও ডল সেই বিয়ের কথা বলতে পারে। অনন্যার কথায়, কমলিনীর বাড়ির সবাই দেখবে কমলিনী কেমন ধরনের মহিলা।
এরপর, অন্যদিকে দেখা যায় কুর্চি-কমলিনী বসে মনের শান্তিতে চা খাচ্ছে আর আলোচনা করছে জন্মদিনের দিন তারা কতটাই না নতুন ডাকে ভুল বুঝেছে। এমনকি, ওই অনন্যা বৌদি কমলিনীর তৈরি খাবারগুলো পর্যন্তও নতুনদার কাছে পৌঁছে দেয়নি। এমন সময়, ওদিক থেকে হঠাৎই ফোন করে ডল।
ডল ফোন করে কমলিনীকে গুরুত্বপূর্ণ কথার জন্য রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা বলে। এমন সময়, কমলিনী তাকে বলে সে তার এমন বন্ধু নয় যে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কথা তাঁকে বলতে হবে। ডল অনেকবার জোরাজুরি করার পর ডলকে বলে বাড়িতে আসতে। এমনকি, ডল যদি সবার সামনে সেই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে তাতে কমলিনীর কোনো আপত্তি নেই।
এরপর, ডলেরা ঠিক করে আজ বিকেলেই কমলিনীদের বাড়ি যাবে। যথারীতি কথা অনুযায়ী সেই দিনেই ডলেরা পৌঁছে যায় কমলিনীদের বাড়ি। এরপর, নানা কথা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলতে থাকে অনন্যার সঙ্গে মিটিলের। অনন্যা উল্টে তাকে জিজ্ঞাসা করে সে এ বাড়ির এই যে তাঁকে অপমান করছে? এমন সময়, কমলিনী বলে মিটিল খুব তাড়াতাড়ি বাবিনের বউ হতে চলেছে, ও এই বাড়িরই সদস্য।
এরপর, মিটিল নতুন কাকুর কথা থেকে শুরু করে প্লুটো সব বিষয় নিয়েই উত্তম মধ্যম অপমান করল অনন্যাকে। মিটিল বলে, প্লুটোর বিয়ে হচ্ছে মৌয়ের সঙ্গে এই বিষয়টার জন্য তার একটু খারাপ লাগছে আবার তারই সঙ্গে ভালোও লাগছে। কারণ, ব্যক্তিত্বহীন কোনো ছেলেকে মেয়েরা পছন্দ করে না। মিঠির সঙ্গে প্লুটোর বিয়ে হলে, মিঠি কারো সঙ্গে সংসার করতে পারত না।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশী গায়কের কেচ্ছা! নারীর পেছনে ছুটে গিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে মা’রধ’র! অমানবিক আচরণে ফের চরম বি’তর্কে গায়ক নোবেল
এরপর, বাবিনও অনন্যা আন্টিকে অপমান করলো সেই জন্মদিনের কথা নিয়ে। বাবিন বলে সেদিন তাঁরা নতুন কাকুর জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিল আর সেই কথাটা নতুন কাকুকে বলেনি। এটা তার অন্যায় হয়েছে। এমন সময়, অনন্যা আন্টিকে সমর্থন করতে এগিয়ে এলো বর্ষা এবং বুবলাই। বুবলাই বলে এত কাণ্ড যে ঘটে গেছে সে কিছুই জানে না। অন্যদিকে আবার বর্ষা বলে, এই বাড়ির লোকেরা ভদ্রতা জানে না। অবশেষে এত কথার মাঝে হঠাৎই এসে পড়ে স্বতন্ত্র আর বলে, ‘বাবা তোমাদের বাড়িতে তো চাঁদের হাট বসেছে’।