আচমকা বন্ধ জনপ্রিয় সিরিয়াল! হঠাৎ বন্ধ হল জনপ্রিয় ধারাবাহিক তোমাদের রানী!

দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিলেই সর্বনাশ! অকালেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সিরিয়াল। এবার যেমন জনপ্রিয় একটি বাংলা ধারাবাহিকের ওপর কোপ পড়ল!বাংলা টেলিভিশনে শীঘ্রই একগুচ্ছ নতুন ধারাবাহিক শুরু হতে চলেছে। ‘তেঁতুলপাতা’, ‘অমর সঙ্গী’, ‘বসু পরিবার’ সহ একাধিক সিরিয়ালের (Serial) নাম উঠে আসছে। অন্যদিকে স্টার জলসা, জি বাংলা হোক বা অন্য কোনও বিনোদনমূলক চ্যানেল, সর্বত্রই টিআরপি কিন্তু শেষ কথা! রেটিং ভালো থাকলে বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে ধারাবাহিক ।

এরই মধ্যে হঠাৎ শেষ হয় গেলো এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক যদিও এখন অবশ্য শুধু টিআরপি নয়, আরও নানান কারণে জনপ্রিয় ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। স্টার জলসার ‘তোমাদের রানী’র রেটিং খারাপ নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এই সিরিয়াল।দুর্যানি’ জুটিকে ৫ই অগস্ট থেকে আর টিভির পর্দায় দেখা যাবে না, এই কথা ভেবেই মন খারাপ ভক্তদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদের ঝড়। ভক্তরা স্টার জলসা চ্যানেল বয়কটের ডাক পর্যন্ত দিয়েছে।

একটা ছেড়ে একটা পাওয়া নয়, বরং সবকিছু পাওয়ার গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল এই মেগা (Bengali Serial)। স্বামী, সন্তান, সংসারের পাশাপাশি বড় ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো ধারাবাহিকের নায়িকা রানী। সন্তান গর্ভে নিয়েই তাকে ডাক্তারির পরীক্ষায় বসতে দেখেছেন দর্শকরা। শুরু থেকেই ‘তোমাদের রানী’র অন্যতম ইউএসপি ছিল দুর্জয়-রানী কেমিস্ট্রি। সিরিয়াল (Bengali Serial) শেষের আগে নায়িকার প্রশংসা শোনা যায় ‘দুর্জয়’ অর্কপ্রভর গলায়। কয়েকদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অভিকার বাহবা প্রাপ্য’।

দর্শকরা চান তাদের দুর্জানি নামক প্রিয় জুটি কে তারা আবার দেখতে পান। গতকাল কেক কেটে শেষ শুটিং ঘোষণা করেন তোমাদের রানী প্রোডাকশন হাউস। গল্পের নায়িকা অভিকা কে রানি হয়ে ওঠবার সফর নিয়ে কথা বলতে বললে তিনি বললেন, ‘আমি এই জার্নিটা খুব এনজয় করেছি। এটা আমার প্রথম কাজ, অনেককিছু শিখেছি। সেটে সবাই খুব সাপোর্ট করেছে, সাহায্য করেছে। হয়ত এতটুকুই রানির সফর ছিল তবে আমি ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু করব’।

আরও পড়ুন: সুধার বাড়ি এসে সব সত্যি জেনে গেল ঠাম্মি! কোন সত্যি জানতে পারল ঠাম্মি? এবার কি হবে সুধার?

সোশ্যাল মিডিয়ায় তো তোমাদের রানি বন্ধ হওয়া খবর নিয়ে হইচই কাণ্ড! ফ্যানেরা প্রতিবাদ করছে। এই বিষয়ে অর্কপ্রভ তাদের উদ্দেশ্য জানান “আসলে ব্রহ্মাণ্ড তো ওইভাবেই তৈরি। একটা জিনিস শুরু হয়, সেটার রক্ষণাবেক্ষণ হয় তারপর সেটা শেষ হয়। শেষ হচ্ছে বলেই তো নতুন কিছু শুরু হবে। মানুষ জন্মায়, মানুষ মরে তারপর মানুষ আবার জন্মায়, এটাই তো চক্রাকারে চলতে থাকে। আবার নতুন কিছু এসে যাবে, তাঁদের সবার মন ভালো হবে। ফ্যানেদের বলব কেউ হতাশ হবে না। “