‘জীবনে এমন পরিস্থিতি এসেছিল যে মনে হয়েছিল আর বাঁ’চব না’! চরম অব’সাদের শিকার হয়েছিলেন ‘আলতা ফড়িং’ এর খেয়ালী! ফিরছেন সিরিয়ালেও
বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) পর্দায় মাঝেমধ্যে এমন কিছু কিছু ধারাবাহিক আসে যে ধারাবাহিকগুলির গল্প দর্শকদের মন জিতে নেয়। আর সেই রকমই স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় সম্পূর্ণ ভিন্নতা নিয়ে শুরু হয়েছিল আলতা ফড়িং (Alta Phoring) ধারাবাহিকটি। বাংলায় তীব্র মহামারির সময়ে আঘাত হানে প্রকৃতি। ‘আমফান’, ‘ইয়াস’ এর মতো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে টালমাটাল হয় বাংলা।
আজও পশ্চিম বাংলার মানুষ বিশেষ করে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষরা এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত বয়ে চলেছেন। প্রায় সবাই হারিয়েছিলেন ঘরবাড়ি। জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর স্টার জলসার পর্দায় শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘আলতা ফড়িংয়ে’ ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়া এক মা-মেয়ের জীবন সংগ্রামের কাহিনীই উঠে আসে এই ধারাবাহিকের প্রাথমিক পর্যায়ে। বাঙালি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই ধারাবাহিকটি।
যদিও পরবর্তীতে এই ধারাবাহিকের মূল অভিনেত্রী ফড়িং হয়ে উঠে বিখ্যাত জিমন্যাস্ট। এই ধারাবাহিকে মূল নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন নবাগতা অভিনেত্রী খেয়ালী মন্ডল (Kheyali Mondal)। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার চম্পাহাটি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কুস্তিয়া গ্রামের মেয়ে খেয়ালি। ছোট থেকেই নাচ খেয়ালির প্যাশন। একটি রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চ থেকেই প্রথমবারের মতো জনপ্রিয়তা পান খেয়ালী। নাচের রিয়েলিটি শো ‛বিন্দাস ডান্স সিজন ১ র প্রতিযোগীও ছিলেন খেয়ালি।
তবে খেয়ালী যে শুধুমাত্র দারুণ নায়িকা এমনটাই নয়, দক্ষ জিমন্যাস্ট, অসামান্য তাঁর নাচের ক্ষমতা, সেই সঙ্গে তাঁর গানের গলাও কিন্তু দুরন্ত। খেয়ালীর বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ বাঙালি দর্শক। গর্বিত অভিনেত্রী পরিবারও। সম্পূর্ণভাবে পড়াশোনা গান-বাজনায় ঘেরা এই পরিবার অবশ্য ছোট থেকেই খেয়ালীকে আর স্বপ্ন পূরণের রাস্তায় এগিয়ে দিয়েছে। বাবা-মা দিদির কাছ থেকে দারুন সাপোর্ট পেয়েছেন খেয়ালী।
মা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হওয়া সত্ত্বেও মেয়েকে এগিয়ে দিয়েছেন অভিনয়ের দিকে। যদিও তিনি জানিয়েছেন পড়াশোনাতেও তাঁর দুই মেয়েই ভীষণ ভালো। কোনদিনই কাউকে বিশেষভাবে দেখতে হয়নি। তিনি সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, খেয়ালী অবশ্য ছোট থেকেই খুব দুরন্ত। কিন্তু বাইরে আবার ততটাই মুখচোরা। যদিও অভিনয়, কলকাতার কলেজে পড়া তাঁকে অনেকটা বেশি সাহায্য করেছে বাইরে দুনিয়ার সঙ্গে মিশতে।
তবে সফল এই অভিনেত্রী জীবনেও কিন্তু বলছি অন্ধকার দিক। খেয়ালী জানিয়েছেন, জীবনের বিভিন্ন সময় অবসাদের শিকার হয়েছেন তিনি। বাবা মা দিদি এমনকি আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকের সমস্ত সদস্যরা তাঁকে সেই অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অবসাদের শিকার হয়ে তাঁর এমনও মনে হয়েছে যে জীবনটা শেষ করে দিই। যদিও এই বিষয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি তিনি বা তাঁর মা। তাঁদের কথায় এই অধ্যায়টা বিশাল বড় তাই বলতে অনেকটা সময় চলে যাবে। নতুন কাজে ফেরা প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা ভালো গল্প পেলে তবেই তিনি ফিরবেন।