বাংলা ধারাবাহিকের ইতিহাসে সাম্প্রতিককালে খল নায়িকা হিসেবে যদি কেউ কুখ্যাত অথবা বিখ্যাত হয়ে থাকেন তিনি হলেন শ্রীময়ীর জুন আন্টি।অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী অভিনীত এই চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে টিভিতে জুন আন্টি কে দেখলে অনেকে হাতা খুন্তি ছুঁড়তেন টিভির পর্দায়।
রাজনৈতিক স্লোগান এর বিরোধীপক্ষের নেতাদের বলা হতো জুন আন্টির থেকেও খারাপ। দেখতে দেখতে 6 মাস হয়ে গেছে শেষ হয়েছে শ্রীময়ী কিন্তু এখনো জুন আন্টি কে ভুলতে পারেনি কেউই। তার কথা বলার ভঙ্গি, চোখ মুখ বাঁকানো, কুটনামি বুদ্ধির অভিনয়ের তারিফ এখনো করেন সাধারণ মানুষ।
আজ সল্টলেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়ে ছিল সেখানেই জুন আন্টি কে দেখা গেল পটকা, মিষ্টি এবং পুটুপিসির সাথে। সেখানেই জানা গেল জীবনের নানা অজানা কথা। জানালেন যে কালার্স বাংলার ইন্দ্রানী ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে জন্য তার কাছে অফার এসেছিল তবে তিনি না করে দিয়েছিলেন।এছাড়াও আরও তিনটি নাম এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রের জন্য তাকে ভাবা হয়েছিল তবে তিনি সেগুলো করার জন্য রাজি হননি।
খলনায়িকা নয়, নায়িকার চরিত্রের জন্যই বলা হয়েছিল তাকে। কিন্তু তিনি আরও কিছু দিন সময় চান। এ ছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও পড়াশোনা করছেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কিছুটা ব্যস্ত। তাই ধারাবাহিকের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দেওয়াটা মুশকিল হবে।সেই জন্য তিনি এখন ধারাবাহিকে ফিরবেন না তাই জুন আন্টিকে কোনো ধারাবাহিকে এখনই দেখা যাবে না।
তবে একটা বিষয় তার খুব আক্ষেপ রয়েছে। ‘জুন আন্টি’র জনপ্রিয়তার পর উষসী আশা করেছিলেন পরিচালক, প্রযোজকরা তাকে নিয়ে ভাববেন। আরও বেশি করে হয়তো ওয়েব সিরিজ, সিনেমার সুযোগ পাবেন। একদম সুযোগ আসেনি, তা বলবেন না। কিন্তু যতটা পাওয়া উচিত ছিল, ততটা পাননি। তিনি সত্যিই আহত হয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রি থেকে এমনটা আশা করেননি।
আর এরপরই তিনি ফাঁস করলেন টলিউডের অন্ধকার দিকের বিস্ফোরক তথ্য। তার মনে হয় ছবির ক্ষেত্রে একটা অন্য ‘লবি’ কাজ করে। পিআর, ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা কত— সে সবের নিরিখেও বিচার করা হয়। ইনস্টাগ্রামে হাজার হাজার অনুরাগী নেই তার।
এমনও শুনতে হয়েছে— ‘আপনি টেলিভিশনে খুব ভাল অভিনয় করেছেন। আপনি খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আপনি কি ‘ওটিটি’-তেও পারবেন?’ ‘ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর অভিজ্ঞতার পরে এটা কি আমার প্রাপ্য?’, প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন উষসী। উত্তর জানা আছে টলিউডের বড় বড় পরিচালকদের?