স্টার জলসার (Star Jalsha) চর্চিত ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। দীপার জীবনের গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে গল্প। সৎ মায়ের কাছে মানুষ দীপা। মায়ের যত্ন, আদর, ভালোবাসার আঁচ টুকুও ছিল না গোটা শৈশব জুড়ে। বিয়ের পরেও সূর্যের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে জীবনে এসেছে লাঞ্ছনা, অপমান। বৈবাহিক জীবনও তার বরাবরের সুখের ছিল না।
ঘটনাক্রমে বিবাহিত বিচ্ছেদ হয়ে যায় দীপা ও সূর্যের। তারপরই তাদের ছোট মেয়ে রূপার বিরল অসুখ ধরা পড়ে। দীপার জীবনে এই কঠিন সময়টায় পাশে ছিল না সূর্য। মেয়ের চিকিৎসার বিরাট অঙ্কের টাকা জোগাড় হয়েছে একা দীপার তৎপরতায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসে রূপা। বলে তার মা যদি অর্জুনকে বিয়ে না করে তাহলে সে অপারেশন করাবে না।
রূপাকে অপারেশনের জন্য রাজি করাতে মিথ্যে বিয়ের নাটক করে দীপা আর অর্জুন। ধারাবাহিকের প্লট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে অর্জুনের বাড়িতে এসে থাকছে দীপা। সঙ্গে রয়েছে দুই মেয়ে। বাড়িময় খুশির আবহ। দুই মেয়েকে নিজের মেয়েদের মতোই ভালোবাসে অর্জুন। তবে সম্প্রতি তিস্তা এসে একরাত থাকে দীপা আর অর্জুনের বাড়িতে।
পরদিন চলে গেলেও তার বৌদিদির জন্য ফেলে যায় একটি চিঠি। আগেরদিন রাতের বেলা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দীপার কাছে ছুটে আসে তিস্তা। ভিক্টরের অত্যাচার সে রাতে সপ্তমে ওঠে। সহ্য না করতে পেরেই তিস্তার পলায়ন। তবে পরদিন চিঠি পেয়েই তিস্তার শ্বশুরবাড়িতে এসে উপস্থিত হয় অর্জুন-দীপা। নিজের চোখে দেখে তিস্তার দিকে ছুঁড়ি তাক করে আছে ভিক্টর। এই দৃশ্য দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা অর্জুন। বেল্ট খুলে ভিক্টরকে মারতে শুরু করে।
আরো পড়ুন: দুর্ঘটনার শিকার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ত্বরিতা চ্যাটার্জী!! কি ঘটল অভিনেত্রীর সঙ্গে? বলছেন নেটিজেনরা? জানলে অবাক হবেন আপনিও
এদিকে, দীপা ফোন করে তিস্তার মাকে ভিক্টরের বাড়িতে ডেকেছে। সঙ্গে সেনগুপ্ত পরিবারের সকলকে। জয় আর প্রবীরও এসে হাজির হয় তিস্তার শ্বশুরবাড়িতে। এদিকে সবার চোখে ভাল হওয়ার জন্য নিজেই পুলিশ ডেকেছে পৃথা। পুলিশ এলে নিজের ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সে। আর তিস্তা চলে আসে অর্জুনের বাড়ি।