শিমুলের জীবন থেকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় নিচ্ছে পরাগ! মন খারাপ শিমুলের! আপনাদেরও কি খারাপ লাগছে?
জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকে নানা সময় দেখা গেছে নানা চমক। সম্প্রতি শিমুলের আর পরাগের সম্পর্কে এসেছে নতুন মোড়। অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে পরাগের চরিত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। শিমুল তার জীবনে কতটা মূল্যবান এটা এবার ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে পরাগ। তাই সে বারবার শিমুল বলতে থাকে তাকে বিয়ে করে তার চাকরিটা নেওয়ার কথা।
যদিও বারবার তাকে ফিরিয়ে দিতে থাকে শিমুল। সে জানায় সে তাকে এভাবে তার চাকরি নিতে পারেনা। ওদিকে পরাগের সঙ্গে থাকার কারণে শিমুলকে ভুল বোঝে শতদ্রু। সে শিমুলকে জানিয়ে দেয় এইভাবে শিমুলের পাশে থাকতে পারেনা সে। শতদ্রু এও বলে শিমুল যেন আর তার সঙ্গে যোগাযোগ না করে। শিমুল শতদ্রুকে পরিস্থিতিটা বোঝানোর চেষ্টা করলেও শিমুলের কোন কথাই শোনানি শতদ্রু। ইতিমধ্যেই আবার বিয়ে পিঁড়িতে বসেছে শিমুল আর পরাগ।
ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে অনুকম্পা বশতই পরাগকে আবার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল। যদিও শিমুলকে এখন ভালোবাসতে শুরু করেছে পরাগ। বিয়ের রাতে শিমুলকে এই সবটাই খুলে বলে সে। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ধারাবাহিক এবং নিজেদের চরিত্র নিয়ে নানা খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেছে আপনাদের প্রিয় শিমুল এবং পরাগ অর্থাৎ অভিনেত্রী মানালি দে এবং দ্রোণ মুখার্জী। অভিনেত্রী মানালি জানিয়েছেন “এখন যা পরিস্থিতি হয়েছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে না পরাগ মিথ্যে বলছে। এখন এই পরিস্থিতিতে পরাগকে বিশ্বাস করছে শিমুল। এবং সে ঠিক করেছে এবার সামাজিক পরিচয়েই সে পরাগের পাশে এসে দাঁড়াবে।”
অভিনেতা দ্রোণ জানিয়েছেন “এই ১৮০% পরিবর্তনটাকে পর্দায় ঠিক করে দেখানোটাই চ্যানেল। আমি চেষ্টা করছি। তবে এই চরিত্রটা শুরু থেকেই খুব চ্যালেঞ্জিং। এত আপ এবং ডাউন আসছে চরিত্রে। সেটা করতে দারুন মজা এসেছে।” অভিনেত্রী মানালি তার চরিত্রটি নিয়ে জানিয়েছেন “লিনা দি খুব সুন্দর করে লিখছেন এই গল্পটা। সব কটা চরিত্রই খুব সুন্দর। শিমুল কিন্তু কোনভাবেই চাকরির লোভে বিয়ে করছে না। আবার অনেকেরই হয়তো মনে হচ্ছে শতদ্রু সঙ্গে যা হয়েছে সেটা খুবই খারাপ হয়েছে। কিন্তু এটাও দেখতে হবে শতদ্রু যখন ফিরে এসেছে তখন শিমুলের বিয়ে হয়ে গেছে। শতদ্রুর সঙ্গে যা ছিল সেটা অতীত। আগে কিন্তু শতদ্রুই চলে গেছিল।”
অভিনেত্রী এও জানান “এটা নতুন কিছু নয়। প্রত্যেকটি মধ্যবর্তী বাড়িতেই দেখা যায় মেয়েকে তাড়াতাড়ি একটি সেটেল্ড ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দিতে। এখানেও তাই হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে বলবে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। আবার প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে গেলেই বলবে আগে ছেড়ে দিয়েছিলে কেন? সবটাই সমস্যা। তবে এখানে শিমুলের মনুষত্বকে দেখানো হয়েছে। শিমুল শেষসময় তার স্বামী পাশে থাকতে চেয়েছে কারণ একটা সময় সে তার স্ত্রী ছিল। তাদের একটা সংসার ছিল। তাই শিমুল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ভবিষ্যতে কি হবে কেউ জানে না।” তাহলে আপনারা কি চান শিমুলের জীবনে নতুন নায়ক আসুক নাকি পরাগের সঙ্গেই গুছিয়ে সংসার করুক শিমুল?