Tithi Basu: মা-বাবার ডিভোর্স থেকে নিজের পয়সায় সংসার গড়ে তোলা! ‘মা’ ধারাবাহিকে বিপুল জনপ্রিয়তার পর কেনো হারিয়ে গেল ছোট্ট ‘ঝিলিক’? প্রকাশ্যে অন্ধকার অতীত

১৪ বছর আগে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক ‘মা’। শুরু হওয়ার সাথে সাথে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছায় এই ধারাবাহিক। টানা পাঁচ বছর চলেছিল এই মেগা। আর সেখান থেকেই পরিচিতি পান ধারাবাহিকের ছোট্ট ঝিলিক। ঝিলিক রূপে তিথি বসু যেরূপ ফ্রেম পেয়েছিলেন, তারপর ছোটপর্দা থেকে যেন হারিয়ে যান ঝিলিক। আর দেখা মেলেনি তাঁর।

কিন্তু কেন? হঠাৎ ছোট পর্দা থেকে কেন সরে দাঁড়ালেন ঝিলিক? জোশ টকে তারই উত্তর মিলল। ছোটপর্দায় অভিনয় করতে দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই তাঁর দেখা মেলে। ব্লগ, রিলিস ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি সর্বদাই এক্টিভ থাকেন। সর্বদাই হাসিখুশি রূপে ধরা পড়েন তিনি। এমনকি দেখা গিয়েছিল, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ব্রেকাপের পরও তিনি বেশ মজেই রয়েছেন, যা দেখে অনেকেই ট্রোল করেন।

কিন্তু জানেন কি এর পেছনের রহস্য কি? কেন সর্বদাই হাসি-খুশি থাকতেই পছন্দ করেন তিনি? তিনি নিজেই এবার তুলে ধরলেন জীবনের সবথেকে অন্ধকারময় সময়কে। যা জীবনের টুকটাক খারাপ ঘটনার থেকে অনেক উর্দ্ধে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের মতো এক ঝড় ওঠে তাঁর জীবনে। যেসময় সন্তানরা তার অভিভাবকদের সঙ্গে হেসেখেলে বড় হয়, সেইসময় ঝিলিক পায়নি তাঁর বাবাকে। এমনকি স্কুলের প্রথম বোর্ড এক্সামেও সাথে ছিল না কেউ।

Children's Day Special: I never forgot my roots despite starting as a child actor at three: Tithi Basu | Bengali Movie News - Times of India

প্রথম বোর্ড এক্সামে তেমন ফল না পেলেও দ্বিতীয় বোর্ড এক্সাম ভালো দেওয়ার জন্য দিন-রাত পড়াশোনা করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজে হাতে বাজার করা, ব্যাঙ্কের কাজ, ঘরের কাজ সমস্ত কিছুই করতেন ছোট বয়স থেকেই। এমনকি এমন দিনও গিয়েছে, যখন তিনি ভালো খাবার সুযোগ পাননি। কিন্তু নিজে পড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯২% পেয়ে সকলকে অবাক করে দেন তিনি। আর এরফলে চলচিত্র দুনিয়া থেকে অনেক দূরে ছিলেন তিনি।

এখন প্রায় শেষ করে ফেলেছে কলেজ। ঝিলিক দর্শকদের থেকে দূরে থাকলেও দর্শক ভোলেনি তাঁর কথা। ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে দেখতে পেয়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন সকলে। আজ তাঁর কোনও অভাব নেই। আর তিনি এসকল কিছু অর্জন করেছেন নিজের সামর্থে। এখন বোঝাই যাচ্ছে, তাঁর কাছে এই বয়ফ্রেন্ড হারানো বড় কিছু নয়। তিনি যে কঠিন সময়কে অতিক্রম করে এসেছেন, আজ তাঁর জনই সর্বদা তাঁকে হাসিখুশিতে দেখা যায় এবং অন্যদেরও সেই বার্তাই প্রদান করেন তিনি।