ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সুপরিচিত সুপারস্টার হলেন অমিতাভ বচ্চন। শোলে,দিওয়ার,জঞ্জির, কুলি,ডনের মতো একাধিক সিনেমা তিনি আমাদেরকে আশির দশকে উপহার দিয়ে গেছেন। তাকে দেখে একটা জিনিস শেখার মত যে তিনি এখনও তার অভিনয় কীর্তি চালিয়ে যাচ্ছেন সেই সঙ্গে করছেন কেবিসির সঞ্চালনা। এখনো কোনো ভালো চরিত্র পেলে তিনি সেই আগের মতই অভিনয় করার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
নিজের জীবনে বহুবার ব্যর্থতার শিকার হয়েছেন অমিতাভ বচ্চন কিন্তু কখনো কোনদিনও থেমে থাকেননি। নিজের হার থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এবং জীবন পথে এগিয়ে গেছেন। রেডিও স্টেশন থেকে প্রত্যাখ্যান, একের পর এক সিনেমা ফ্লপ হওয়া, দেখতে তথাকথিত হিরোর মত না হওয়ায় প্রচুর সিনেমা থেকে রিজেক্ট হওয়া এসব অমিতাভ বচ্চনের জীবনে লেগেইছিল। তবু হেরে যান নি বিগ বি, নিজের চেষ্টার জোরে আজ তিনি বলিউডের শাহেনশাহ।
তবে একটা সময় এসেছিল যখন শশী কাপুর তাকে অভিনয় করতে বারণ করে দিয়েছিলেন! হঠাৎ কী এমন হয়েছিল যে শশী কাপুর অভিনয় করতে বারণ করলেন অমিতাভ বচ্চন কে? আসলে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে শশী কাপুরের পরিচয় হয়েছিল একটি শুটিং সেটে। শশী কাপুর সেই সময় সুপরিচিত তারকা এবং তিনি অমিতাভ বচ্চনকে দেখেই বুঝেছিলাম যে তার মধ্যে পোটেনশিয়াল আছে। একটি সিনেমায় শশী কাপুর এর একটি দৃশ্য ছিল যেখানে তার শেষকৃত্য দেখানো হচ্ছে এবং তার জন্য একটি জনসাধারণের ভিড় দরকার। আর অবাক করা কান্ড এই হল যে সে জনসাধারণের ভিড়ের একজন অভিনেতা হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন।
তাকে দেখতে পেয়েই শশী কাপুর ডাকেন এবং বলেন যে তুমি এই চরিত্র কেন করছো? তোমাকে এই এত ছোট রোলে একেবারেই মানায় না। অমিতাভ বচ্চন জানান যে তার খুব টাকার দরকার সে জন্যই তিনি অভিনয় করছেন। এ কথা শুনে শশী কাপুর বলেন, “যদি অর্থের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আমার থেকে তুমি নিতে পারো কিন্তু এমন ছোটখাট চরিত্র তুমি করো না”।
কিন্তু অমিতাভ বচ্চন সেদিন শশী কাপুরের কথা শুনেননি এবং তিনি সেই ভিড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণে শশী কাপুর বুঝতে পেরেছিলেন যে অমিতাভ বচ্চনের সত্যিই কিছু অর্থের প্রয়োজন।শুটিং শেষ হলে শশী কাপুর ছবির পরিচালক কে ডেকে বলেন কোনোভাবেই যেন অমিতাভ যে দৃশ্য রয়েছে সেই দৃশ্য দেখানো না হয়। তার অনুরোধ রেখেছিলেন পরিচালক। তাই আজ আমরা অমিতাভকে সাইড আর্টিস্ট নয় একজন বড় মাপের অভিনেতা বলেই চিনি।