চোখের সামনে নিজের সন্তানদের গুলিতে ঝাঁঝরা হতে দেখেছেন।পুত্রবধূকে লাঞ্চিত হতে দেখেছেন। কিন্তু কিছু করতে পারেননি। এবার সেই চরিত্র নিয়ে একটি বড় সত্য উদঘাটন করলেন তিনি। এই চরিত্র সারাজীবন বেঁচেছিলেন সেই আতঙ্কে।
পুষ্করনাথ জীবনের শেষ সময়ে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মাঝে মাঝে ঠান্ডা লাগত। নাতির লেখাপড়া যাতে ঠিকঠাক মতো হয় তাই জন্য ছানির অস্ত্রোপচারের পর অল্প খরচে লেন্স কিনেছিলেন।
এভাবেই সিনেমার পর্দায় এই কাশ্মীরি পণ্ডিতেরচরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন অনুপম খের। অনেকেই মনে করছেন এই চরিত্রটি এত সুন্দরভাবে অনুপম ফুটিয়ে তুলেছেন তার জন্য পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য তিনি। পুষ্করনাথের এই চরিত্রটি নাকি আসলে অনুপম খেরের বাবা। এই সত্যকে উদঘাটন করেছেন তিনি নিজেই।
আসলে অনুপম খের একজন কাশ্মীরি পন্ডিত। সিমলায় জন্ম হয়েছিল এই অভিনেতার। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হওয়া অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরি হওয়া স্বাভাবিকভাবেই তিনি সেই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে ফেলতে পেরেছিলেন। এবার বললেন এই সিনেমাটি তিনি উৎসর্গ করলেন নিজের বাবাকে। বাবার সঙ্গে তোলা শেষ ছবি পোস্ট করে অনুপম লিখেছেন বাবার সঙ্গে আমার শেষ ছবি। পুষ্করনাথজি। নিজের বাবাকে পৃথিবীর সবথেকে নিরীহ মানুষ বলে বর্ণনা করেছেন।