ভারতীয় সংগীত জগতে বাপ্পি লাহিড়ী যে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম তা নতুন করে বলতে লাগেনা। বাংলা থেকে হিন্দি দুই ভাষাতেই অসাধারণ জনপ্রিয় সুন্দর গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে এই বঙ্গসন্তান কিভাবে মুম্বাইতে পারি দিয়েছিলেন? আর কি কারনেই বা তার নাম গিনিশ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে উঠেছিল? এই সব কিছুই হয়তো অনেকের অজানা। আজ তার ৭০ তম জন্মদিনে এমনই কিছু অজানা তথ্য এখানে দেওয়া হল।
১৯৫২ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ২৭ এ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন বলিউডের ডিস্কো কিং।পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় জন্ম তার। তার আসল নাম ছিল অলকেশ লাহিড়ী। ছোট থেকেই সংগীত জগতের মধ্যে বড় হয়েছিলেন তিনি ।
তার বাবা অপরেশ লাহিড়ি আর মা বাঁশুড়ি লাহিড়ী দুজনেই বাংলা সঙ্গীত জগতে ছিলেন পরিচিত নাম। তাই বলা যায় যে গান তার রক্তে ছিল। তবে ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল মহানগরীতে গিয়ে সংগীতের জগতে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন। আর সেই ইচ্ছা নিয়েই খুব অল্প বয়সেই চলে আসেন মুম্বাইতে।
তারপর ১৯৭৩ সালে হিন্দী ‘নানহা শিকারী’ ছবিতে তিনি প্রথম গান রচনা করেন। এরপর ১৯৭৫ সালে তাহির হুসেনের ‘জখমী’ ছবিতে কাজ করেন।বাংলা ছবি ‘দাদু’তে ১৯৭২ সালে সুর দেন।
১৯৭৫-এ তার প্রথম হিট বড় ছবি কিন্তু জাখমিকেই বলা যায়। ওই ছবিরও প্রযোজক ছিলেন তাহির হুসেন। রোম্যান্টিক গান থেকে শুরু করে ভজন, কাওয়ালি থেকে রাগাশ্রয়ী গান, এই সব কিছুই অনায়াসে গেয়ে ফেলতে পারতেন বাপ্পি লাহিড়ী।
View this post on Instagram
১৯৮৬ সালে এক বছরের মধ্যে ৩৩টি ছবির জন্য ১৮৬টি গান রেকর্ড করে গিনিশ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলে ছিলেন। ৯০ দশকে মুম্বাইয়ে মাইকেল জ্যাকসনের কনসার্টে ভারতীয় সংগীত জগত থেকে একজনই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তার নাম হলো বাপ্পি লাহিড়ী। তাঁর আইকনিক গান জিমি জিমি আজা আজা… হলিউড ছবি ‘ You Don’t Mess With The Zohan’s’-এ ব্যবহার করা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি বছরের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতীয় সংঘের জগতের এই নক্ষত্র। বাপ্পি লাহিড়ীর ৬৯ বছর বয়সে এই হঠাৎ চিরনিদ্রায় চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারেননি।