পাত্র সরকারী চাকরিজীবী,তারপরেও ২০লক্ষ টাকা ও গাড়ি পনের দাবি, বিয়ের সাজে থানায় গেল কনে

বিয়ে মানেই দুই পরিবারের বন্ধন, দুটি মানুষের মনের মিলন। সেখানে বাকি সমস্ত কিছুই তুচ্ছ। ভালোবাসার বন্ধনে বাঁধা পরে যায় দুটি পরিবার। কিন্তু সম্প্রতি এমনিই একটি ঘটনা ঘটেছে যার জেরে রীতিমত তাজ্জব বনে যেতে হবে।

পাত্র সরকারি চাকরি করে। হরিয়ানা নিবাসী এই চাকুরীজীবী বিয়ে সময় তার দাবি শুনলে চমকে যাবেন।পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে একটি এসইউভি গাড়ি ও ২০ লাখ টাকা পণ চেয়েছিল পাত্রপক্ষ। যদিও নিজে কর্নালে বিয়ে করতে আসেন তিনি। বিয়ে করতে এসেই ঘটে বিপত্তি। বিয়ের গেটের সামনে তার দাবি মত সেই বিলাসবহুল গাড়ি গেটের সামনে না থাকায় বিয়ের পিঁড়িতে বেকে বসেন পাত্র পক্ষ। পরিস্থিতি এমনই গুরুতর অবস্থায় পৌঁছয় যে বাধ্য হয়ে পুলিশ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।

শেষ অব্দি বিয়ে করতে রাজি হয় পাত্রপক্ষ। তবে তাতে অবশ্য সমস্যা মেটে নি। সারা রাত ভোর এই নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত থাকে।সকাল হতেই থানায় যায় পাত্রীপক্ষ। সরাসরি পাত্র ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পাত্রী নিজেই।

গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গেছে গোটা বিয়ে বাড়ি জুড়ে।কার্নাল সিভিল পুলিশ লাইনস পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রমেশ চন্দ্র বলেন, পাত্র, তার বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। যদিও পাত্রীপক্ষের সমস্ত অভিযোগ ইতিমধ্যেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন পাত্রপক্ষ।তারা দাবি করছেন দাবি , আমরা পণ ছাড়াই বিয়ে করতে রাজি ছিলাম।

কর্নালের এসপি গঙ্গারাম পুনিয়া বলেন, এফআইআর নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে সঠিক সময় মত। পাশাপাশি হরিয়ানা মহিলা কমিশনও গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রীতি ভরদ্বাজ দালাল পাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ও পুলিশকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।