অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। অভিনেতা-অভিনেচ্ছদের জীবনে একাধিক নারী পুরুষের আগমন হয়ে থাকে। তবে চিরঞ্জিতের মতো একজন বর্ষিয়ান অভিনেতার জীবনেও কি অন্য নারীর আগমন হয়েছে? নিজেই জানালেন সে কথা।
টলিউড জগতের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বাংলা সিনেমা জগতে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নাম শোনেননি এমন খুব কমই আছে। অভিনেতা হিসেবে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। খুব অল্প বয়স থেকেই নিজের অভিনয় যাত্রা শুরু করেছিলেন। যদিও তার আসল নাম চিরঞ্জিত নয় বরং দীপক চক্রবর্তী। ১৯৮১ সালে সোনায় সোহাগা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়েছিল। কিন্তু তাতে তার কেরিয়ার গড়ায়নি। এরপর তিনি অঞ্জন চৌধুরীর ১৯৮৪ সালে চলচ্চিত্র ‘ শত্রু’ -এ অভিনয় করার পর জনপ্রিয়তা পান । তার প্রথম একক হিট ছবি ছিল ১৯৮৫ সালে ‘অন্তরালে’।
এর পরে, আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রতিকার , পাপি , পাপ পুন্য , বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না , অমরকন্টক , জীবন জোবন , ভয় , শয়তান , পেন্নাম কলকাতা , বেয়াদপ, ত্রিধারা, জীবন যোদ্ধা, ফিরিয়ে দাও, অগ্নিতৃষ্ণা, শক্তি রাত্রির মতো একাধিক হিট সিনেমা করেছিলেন চিরঞ্জিত। , তোমার রক্তে আমার সোহাগ, ত্রিশূল, ছোটুশকোন ইত্যাদি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ঋতুপর্ণ ঘোষের ২০০০ সালে ‘বারিওয়ালি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর তিনি একটি টার্নিং পয়েন্ট পেয়েছিলেন । তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
না অন্য নারীর সঙ্গে এ সম্পর্কে জড়াননি চিরঞ্জিত বরং পারমিতা মুন্সির একটি নতুন ছবি ‘হেমা মালিনী’ তে দেখা যাবে তাকে। গল্পের প্লট অনুযায়ী, হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রর দেখা! খুব সাধারণ দু’জন মানুষ, পর্দার মতো সুপারস্টার নয়। গল্পের খাতিরে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর। তবে এই ক্ষেত্রে সুখের সংসার হওয়া সম্ভব নয়। কারণ পর্দার ধর্মেন্দ্রর বিবাহিত জীবন, স্ত্রী বর্তমান, তবে সংসার সুখের কিনা তার উত্তর মিলবে আসন্ন ছবিতে। গল্পে ধর্মেন্দ্র হিসেবে অভিনয় করবেন চিরঞ্জিত এবং তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করবেন চৈতি ঘোষাল।
আরও পড়ুনঃ অনির্বাণ অতীত, রাইয়ের জীবনে ফের নায়ক হয়ে ফিরছে শৌর্য্য! আসছে পুনর্মিলন পর্ব
ছবি প্রসঙ্গে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্র দেখা হওয়ার পরেই গল্প নতুন করে এগোতে থাকবে এই ছবিতে। নাম শুনে অনেকে অনেক কিছু ভাববেন, তবে ছবিটি বেশি ইন্টারেস্টিং। পারমিতা বরাবর খুব ভাল স্ক্রিপ্ট লেখেন, ওঁর প্রথম ছবি থেকে আমি কাজ করছি, প্রত্যেক ছবির ক্ষেত্রেই এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি। হেমা মালিনীর ক্ষেত্রেও তা বিকল্প নয়।” চৈতি ঘোষালের কথায়, “অনেক বছর আগে পর্দায় নায়িকা হিসাবে কাজ করি, এই সময় ‘তোমার রক্তে আমার সোহাগ’ ছবিতে কিছুক্ষণের জন্য চিরঞ্জিতদার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলাম। এত বছর পর আবার জুটি হয়ে ফেরা সত্যি খুব নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম। আমার চরিত্রটার মধ্যে অনেকগুলো দিক আছে। ছবিতে তা স্পষ্ট হবে।”