আজকের দিনে জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের কাছ থেকে কিছু শেখার আগ্রহ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে সংগীত বা অভিনয়ের জগতে নামকরা কোনও ব্যক্তিত্ব যদি শিক্ষক হন, তাহলে সাধারণ মানুষের মনে একটাই আশা জাগে— তাঁর কাছে শেখার মানেই হয়তো একদিন পর্দায় সুযোগ পাওয়া। এই ধারণাই এখন অনেকের মনে গেঁথে গেছে, অথচ বাস্তবতা এর থেকে একেবারেই আলাদা। মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় গায়িকা ইমন চক্রবর্তী।
ইমন চক্রবর্তী বাংলা সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম। ২০১৭ সালে ‘প্রাক্তন’ ছবির “তুমি যাকে ভালোবাসো” গানটির জন্য জাতীয় পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন তিনি। এর পর থেকে একের পর এক সফল গান উপহার দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে। শুধু তাই নয়, সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন ইমন, তাঁর প্রতিভা ছড়িয়ে পড়েছে সংগীত ও অভিনয়— দুই জগতেই।
নিজের জীবনের গানের শিক্ষিকা হিসেবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিজ্ঞতার কথা জানালেন গায়িকা। বললেন, শিক্ষকতা তাঁর কাছে শুধুই শেখানোর আনন্দ নয়, বরং এক গভীর দায়িত্ব। কিন্তু সবাই যে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তাঁর কাছে আসে, তা নয়।
ইমন জানান, যেহেতু তিনি জি বাংলার ‘সারেগামাপা’-এর বিচারক ছিলেন, তাই অনেকেই তাঁর কাছে গান শিখতে আসেন শুধুমাত্র ওই মঞ্চে সরাসরি সুযোগ পাওয়ার আশায়। কিন্তু তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমি কাউকে সুযোগ দিতে পারি না, শুধু শেখাতে পারি।” ফলে যখন ওই শিক্ষার্থীরা বোঝেন যে সারেগামাপা-র জন্য কোনও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় না, তখনই তাঁরা আর ফিরে আসেন না।
আরও পড়ুনঃ “কমলিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঠকিয়ে বিয়ে! তিন সন্তানের মায়ের জীবনে এমন অবমাননা কেন?” “এটা কি ভালোবাসা নাকি মানসিক নির্যাতন? নারী স্বাধীনতার নামে এমন গল্প প্রচার কেন?” চিরসখায় নতুনের কার্যকলাপ দেখে বিরক্ত নেটপাড়া!
গায়িকার এই বক্তব্যে স্পষ্ট, জনপ্রিয়তার আড়ালে শিক্ষকতা মানে শুধুই প্রচার নয়— বরং এটি এক সৎ সাধনা। আর সেই সাধনার পথ শর্টকাটে মেলে না, এটা বোঝাতে গিয়েই যেন অভিজ্ঞ শিল্পী সমাজের ভ্রান্ত ধারণা ভাঙার চেষ্টা করলেন।






