একসময়ের পর্দাকাঁপানো অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে রাজনীতিতে নিজের ছাপ রেখেছেন রূপা গাঙ্গুলি। বরাবর তিনি স্পষ্টবক্তা। সেইসঙ্গে কোন রাখঢাক পছন্দ করেন না। তবে কাউকে তোয়াক্কা করেন না নায়িকা। নিজের জীবন নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাটান। তাইতো তাঁর নিন্দুকদের সংখ্যাও কম নয়।
মহাভারতের দ্রৌপদী বাস্তবে ডিভোর্সি হলেও এখনও মাথায় সিঁদুর দেন। কেন? অভিনেত্রী বিবাহিতা, নাকি অবিবাহিতা, নাকি বিবাহবিচ্ছিন্না এ নিয়ে বহুমত রয়েছে। তবে রূপার অনুরাগীরা এটা জানেন যে তাঁর স্বামী ধ্রুব মুখার্জির সঙ্গে বহুদিন আগেই তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। আবার এও শোনা যায় যে তিনি নাকি গায়ক দিব্যেন্দু্র সঙ্গে লিভ-ইনের সম্পর্কে রয়েছেন। ডিভোর্সী হয়েও রূপা সিঁদুর পরেন। কার জন্য সেই সিঁদুর? প্রশ্ন বহুদিন ধরে উঠলেও এতদিনে সেই রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী নিজেই।
নায়িকা নাকি দুটো কারণে সিঁদুর পরেন। এক, তাঁর পরিবারের জন্যে রোজ যাঁরা সুস্থতা কামনা করেন, তাঁরা যেন ভাল থাকেন। আর দ্বিতীয়, তিনি নিজেকে সিঁদুর পরে দেখতে ভালবাসেন। রূপার এই অভ্যাস নিয়ে তাঁকে বহুবার বহু ধরনের কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে সেসব নিয়ে ভাবতে চান না রূপা। নিন্দুকদের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মহাভারতের দ্রৌপদী জবাব দিয়েছেন যে এক সময় তো তাঁর মুখের ব্রণ দেখেও লোকে নানা কথা বলত! তিনি নাকি সবার সুস্থতা কামনার জন্য সিঁদুর পরেন। এটা তাঁর চয়েস। তাঁর সিঁদুর পরতে ভাল লাগে তাই পরেন।