“বাবা বলেছিলেন ক্যাসেটগুলো নিয়ে রাস্তায় বেরোই সিরিয়াল নেবে গো বলে বিক্রি করি…” জোছন দস্তিদারের ১৩ পার্বন নিয়ে অকপট খেয়ালী দস্তিদার

বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পরিচিত মুখ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী খেয়ালী দস্তিদার (Kheyali Dastidar)। বলা যায়, বাংলা সিরিয়ালের জন্ম যাঁর হাত ধরেই, সেই জোছন দস্তিদারের কন্যা তিনি। পরবর্তীকালে মেয়েও আসেন অভিনয়ে। কথায় কথায় নিজের বাবার সঙ্গে কাটানো সেই ছোটবেলার দিনগুলির কথা বললেন খেয়ালী।

ধারাবাহিকের জগতে তৈরি হওয়া তৃতীয় বাংলা সিরিয়াল ছিল জোছন দস্তিদার পরিচালিত ‘১৩ পার্বন’। এই ধারাবাহিক বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা করে। এই ধারাবাহিকের হাত ধরে বিনোদন জগতের বহু তারকার জন্ম হয়। যেমন সব্যসাচী চক্রবর্তী, খেয়ালী দস্তিদার থেকে ইন্দ্রাণী হালদার-সহ আরও অনেকেই। বলা হয় ‘তেরো পার্বণ’ বাংলা টেলিভিশনের একটি স্তম্ভ।

“আমার বাবা ছিলেন রাজা আর আমি ছিলাম রাজকন্যা”

সম্প্রতি নিজের ছোটবেলার স্মৃতি ঘেঁটে দেখলেন অভিনেত্রী খেয়ালী দস্তিদার। নিজের বাবা তথা জোছন দস্তিদারের কথা বললেন তিনি। অভিনেত্রী বললেন, ছোটবেলায় বাবার আদরে মানুষ। তাঁর বাবা ছিলেন রাজা আর তিনি ছিলেন রাজকন্যা। তাই যখন জীবনসঙ্গীকে নিয়ে বাবার সামনে তিনি দাঁড়ান, তখন বাবা বলেছিলেন, পরখ করে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ পার্শ্বচরিত্রে আর নয়, দর্শকেরা নায়ক হিসাবে দেখতে চায় অভিনেতাকে! রিয়াজকে নায়ক হিসেবে দেখতে চান আপনারা?

অভিনেত্রী আরও বললেন, তাঁর বাবা ছিলেন ঝড়ো হাওয়ার মত। সব সময় হাসি, ঠাট্টা করে যেতেন।‌ তবে সবটাই ছিল নাটক কেন্দ্রিক। তিনি নাটক প্রিয় মানুষ। সংসারের প্রতি চির উদাসীন। বরাবরই অভিনেত্রীর মা সবটা সামলে চলতেন। এমন কি পরিবার চালানোর জন্য রোজগার নিয়েও কখনো ভাবেননি অভিনেত্রীর বাবা। ‌

এরপর ধীরে ধীরে নাটক ও থিয়েটার জগত পেরিয়ে বাংলা সিরিয়াল। একটা সময় এসেছিল যখন বাবা বলেছিলেন, “একটা ঝুড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোই, সেই ঝুড়িতে থাকুক ক্যাসেট গুলো। বলবো সিরিয়াল নেবে গো সিরিয়াল”। ধীরে ধীরে সেই সময়টা কেটে গেল। অভিনেত্রীর মা সব সময় থাকতেন পর্দার ওপারে। যদিও, খেয়ালীর কথায় আমার বাবা পিতা হিসেবে বেশি নম্বর পাবে স্বামী হিসেবে কম।