‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল’, গতকাল রাতে নজরুল মঞ্চে গাওয়া এটিই শেষ গান ছিল কেকে’র। কেউ ভাবতে পারিনি এটা তার জীবনের শেষ গান হয়ে যাবে। সত্যিই তিনি হয়তো আজ আর নেই কিন্তু মুহূর্তগুলো থেকে গেল। জীবনের এত আশ্চর্য সমাপতন সত্যিই ভাবা যায় না।
গতকাল রাত থেকেই কাঁদছে গোটা ভারত বিশেষ করে কষ্ট হচ্ছে বাঙ্গালীদের।তার কারণ যারা নব্বইয়ের দশকে বড় হয়ে উঠেছে এছাড়াও 2000 2010 সাল পর্যন্ত যাদের টিনেজ সময় ছিল তারা জানে কেকে তাদের কাছে ঠিক কী। জারা সা দিল মে দে জাগা তু থেকে তড়প তড়প কে ইস দিল সে আহ নিকালতি রহি, ইয়ারো দোস্তি থেকে ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল, প্রেম ভাঙ্গা থেকে প্রেম শুরু, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসায় সবেতেই বিরাজমান কেকে।সেই থেকে কলকাতায় এসে অসুস্থ হয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বাঙালি।
মানুষটা বরাবর হাসিখুশি ছিলেন। ভীষণdown-to-earth। তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ একটাও অভিযোগ তুলতে পারেনি। হয়তো তিনি জাতীয় পুরস্কার পাননি কিন্তু তার ঝুলিতে পুরস্কারের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবেনা। ভিশন ভালোবাসতেন স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে।টিনেজ জীবনের ভালোবাসা কে বিয়ে করার জন্য গান ছেড়ে করতে শুরু করেছিলেন সেলহের চাকরি। কথাবার্তায় সবসময় থাকত নম্র ভাব।একটা টি শার্ট আর জিন্স পরেই গাইতে উঠে যেতেন মঞ্চে। জীবনে ছিল না মদ সিগারেট এর কোন নেশা।পরিমিত খাওয়া-দাওয়া আর ট্রেডমিলে হাঁটা ছিল জীবন। তার পরেও শুধুমাত্র গরমে ছটপট করতে করতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুর পরে শেষ যাত্রার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।আমরা অত্যন্ত দুঃখিত সেই ছবি আপনাদের সামনে আনার জন্য কিন্তু এটা আমাদের পেশাদারী দায়বদ্ধতা ছাড়া আর কিছু নয়। এই ছবিতে দেখা যাবে কেকের মুখে সেই অমলিন হাসি। মৃত্যুর পরেও সেই হাসি বজায় রয়েছে। ছবিটা দেখে কান্না সামলাতে পারছেন না কেউই। সকলেই চাইছেন এবার স্বর্গে গিয়ে ভালো থাকুন সুরের জাদুকর।