এবার খোলা বাজারেই মিলবে দেশের দুই টিকা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন। গতকাল, বুধবারই এই দুই টিকাকে বাজারজাতকরণ করার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই অনুমোদনপত্র পাঠানো হয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে। সেখানথেকে ছাড়পত্র মিললেই দুই টিকা পাওয়া যাবে ওষুধের দোকানে।
এদিন সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশনের তরফে একটি টুইট করে জানানো হয়, “কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন এতদিন দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা হত। এবার তা বাজারজাতকরণের অনুমোদন দিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে সেই অনুমোদন পাঠানো হয়েছে। তারাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে”।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন জানায় যাতে কোভিশিল্ডকে খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদন পাওয়া যায়। কোনও টিকার সাধারণত দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল না হলে তা বাজারে বিক্রির অনুমোদন মেলে না। কিন্তু এক্ষেত্রে কোভিশিল্ড হোক বা কো-ভ্যাক্সিন, দুটি টিকাই এই মুহূর্তে দেশের মানুষ পেয়েছেন। তাই এই টিকা বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়তে হলে একমাত্র হাতিয়ার হল টিকা। এই কারণে প্রথম থেকেই টিকাকরণের উপর জোর দিয়ে এসেছে সরকার। ২০২১ সালের ১৬ই জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণের সূচি শুরু হয়। টিকাকরণের গণ্ডি একশো কোটি পেরিয়েছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। এবার এই দুই টিকাকে বাজারজাতকরণ করতে চলেছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মার্চের মাঝামাঝিই নাকি করোনার ভয়াবহতা শেষ হয়ে যেতে পারে। ডেল্টা, ওমিক্রন, ডেল্টাক্রন, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই করোনার একের পর এক ন্যা প্রজাতি দেখা দিয়েছে। ডেল্টার পর এখন আছড়ে পড়েছে ওমিক্রন। এমন সংকটের মুখে আশার আলো দেখিয়েছে আইসিএমআর।
এই বিষয়ে আইসিএমআর-এর মহামারী বিষয়ক দফতরের প্রধানের সমীরণ পাণ্ডা বলেন, “১১ই মার্চ থেকে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আসবে স্বস্তি। দিল্লি এবং মুম্বই করোনার কেসের শীর্ষে পৌঁছনোর পর এবং সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পর আমাদের আরও দু-তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। যদিও দিল্লি ও মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেঅ করোনার দৈনিক সংক্রমণ আগের থেকে কমেছে। একইসঙ্গে পজিটিভিটি রেটও নিম্নমুখী”।