বহু সিরিয়াল টিভিতে দেখি আমরা কিন্তু এমন কিছু সিরিয়াল টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে যা মানুষের মনে দাগ কেটে যায়। এর আগেও আমরা এই নিদর্শন পেয়েছি যে কিছু সিরিয়াল হুট করে শেষ হয়ে গেলেও দর্শকরা ভুলে যেতে পারেনি সেই গল্প বা চরিত্রগুলিকে।
একটা সিরিয়াল বা সিনেমা তখনই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যখন তার গল্পের জোর থাকে, গল্প পরিবেশনা ভালো হয় আর সেই সঙ্গে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় দক্ষতা থাকে। এসব কিছু মিলেমিশে একটি সুন্দর গল্প ফুটে ওঠে। এমন অনেক গল্প এখন পর্যন্ত দেখেছি তবে তার মধ্যে খুব কম পরিমাণ গল্প দর্শকদের মনে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। এর কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিরিয়ালের অকৃত্রিমতা।
সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এখন পর্যন্ত জি বাংলার মিঠাই ধারাবাহিক এমন এক সিরিয়াল যা নিঃসন্দেহে জনপ্রিয় আজকের দিনে। ২ বছর হয়ে গেলেও তার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র আঘাত পড়েনি। আজকের প্রজন্ম থেকে শুরু করে মা-কাকিমারা বা বয়স্করা সকলেই মিঠাইকে ভালোবাসে। এখন গল্পের খাতিরে যদিও মিঠাই নেই তবে সে না থাকলেও যে প্রতি মুহূর্তে দর্শকদের মনে আছে সেটা সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেই বোঝা যায় মাঝে মাঝেই।
আসলে যবে থেকে দেখানো হয়েছে সিরিয়ালে যে মিঠাই মারা গেছে তবে থেকেই দর্শকরা নতুন করে দাবি করছে যে আবার যেন মিঠাইকে ফিরিয়ে আনা হয় সেটা যেভাবেই হোক। মিঠি এসেছে তবু তারা সিড মিঠাইকে একসঙ্গে চায় কারণ তাদের দাবি এখন মিঠাইকে ছাড়া উচ্ছে বাবু যে অসম্পূর্ণ। মাঝখানে যদিও মিঠাই চলে যাওয়ার পর টিআরপি কমতে শুরু করেছিল কিন্তু টিআরপি দখলের লড়াইয়ে একের পর এক চমক এসেছে গল্পে। তবু দর্শকদের মনের কষ্ট মিটছে না মিঠাইকে না দেখতে পেয়ে।
যদিও টিআরপি কম হলেও জনপ্রিয়তা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। আবার একবার তার প্রমান পাওয়া গেল। আবার সেরা ধারাবাহিক হল জি বাংলার মিঠাই। মিঠাই মারা যায় নভেম্বরের ১২/১৩ তারিখের এপিসোডে। কিন্তু ডিসেম্বর মাসেও মিঠাই মোস্ট পপুলার ফিকশন চরিত্র হিসেবে স্থান পেয়েছে। তাই সেই হলো সেরা। Ormax Media থেকে এই স্বীকৃত তুলে দেওয়া হয়েছে মিঠাইকে।