এই বাংলাদেশের প্রতি আমার কোনও আগ্রহ নেই, এই বাংলাদেশকে আমি চিনতে চাই না, সবকিছুর শাস্তি পেতে হবে! অকপট মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ পড়শি দেশ বাংলাদেশে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাতের ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষদের, প্রভাব পড়ছে দেশের শিল্পসংস্কৃতিতেও। এ অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টলিপাড়ার বহু অভিনেতা। তাদের মধ্যে একজন বিশিষ্ট কণ্ঠ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমার আবেগ গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। এই পরিস্থিতি দেখে আমি দুঃখিত। সত্যি বলতে, এই বাংলাদেশকে আমি চিনতে চাই না। জানতেও চাই না। এই অবস্থা আরও চলতে দেওয়া উচিত নয়। উপরওয়ালা সব দেখছেন এবং এর ফল সবাইকে ভুগতে হবে।”

মিঠুনের মতো দেব, কোয়েল মল্লিক এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তীও একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেব সম্প্রতি জানিয়েছেন, “খবর পড়ে মাঝে মাঝে ভয় লাগে। মনে হয়, এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ শুরু হতে পারে। ভারত-বাংলাদেশ বা অন্যান্য দেশগুলোর সংঘাত হতে পারে। কিন্তু আমি চাই না এরকম কিছু ঘটুক। প্রত্যেকেই শান্তিতে থাকুক এবং ভালো থাকুক। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকা উচিত পরিবারকে নিরাপদ রাখা, দুবেলা খাবার এবং মাথার ছাদ।”

অভিনেতাদের উদ্বেগ শুধু কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বড়দিনের সময় শহরে উৎসবের আমেজ থাকলেও তাদের মন এখনও অস্থির। ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে কোয়েল অভিনীত ‘মিতিন মাসি: একটি খুনির সন্ধানে’, দেবের ‘প্রজাপতি ২’ এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। সিনেমার উচ্ছ্বাস থাকা সত্ত্বেও তারকারা সবাই শান্তি কামনা করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়েও চিন্তিত।

শান্তির বার্তা ছাড়াও তারা সচেতন করছেন সাধারণ মানুষকেও। দেব বলেন, “আমরা চাই যে সবাই শান্তিতে থাকুক। অন্যকে ক্ষতি করে নিজেকে ভালো রাখা সম্ভব নয়। যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, ভবিষ্যতে আরও খারাপ সময় আসতে পারে। তাই প্রার্থনা করছি আমরা সবাই ভালো থাকি। আমাদের সিনেমা চলুক বা না চলুক, আমাদের শান্তি থাকুক।” এই বার্তায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাদের চিন্তাভাবনার গভীরতা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি।

আরও পড়ুনঃ জেভের সঙ্গে ডিভোর্স হতেই ডেটিং অ্যাপে মনের মানুষ খোঁজার কথা জানালেন শ্রীনন্দা শঙ্কর! চাইলেন অনুরাগীদের সাহায্য

পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা তারকাদের মানবিক ভাবনার প্রতিফলন। মিঠুন চক্রবর্তী, দেব, কোয়েল এবং চিরঞ্জিত প্রমাণ করেছেন যে শিল্পী হওয়া মানেই শুধু ক্যামেরার সামনে না থেকে সমাজ ও প্রতিবেশী দেশের প্রতি সচেতন থাকা। এই মুহূর্তে তাদের কণ্ঠে ধরা পড়ছে একটাই আবেদন, শান্তি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাদের বার্তা স্পষ্ট, সংঘাত নয় বরং সমঝোতা এবং সৌহার্দ্যই আমাদের পথ দেখাবে।

You cannot copy content of this page