কেকের অকাল মৃত্যু! কাঠগড়ায় গুরুদাস কলেজ, তদন্ত চাইছে অনুরাগীরা
গতকাল জীবনের শেষ লাইভ কনসার্ট করে চিরতরে চলে গেলেন কেকে। এই একটি নাম হাজার সংগীত অনুরাগীদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করতে যথেষ্ট। গতকালও ঠিক তেমনটাই হয়েছে। কুড়িটি হিট গান দিয়ে অজস্র দর্শকদের, শ্রোতাদের মনে খাঁটি বিনোদন দিয়েছেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে।
এর আগেও বহু কনসার্ট হয়েছে কলকাতায়। এমনকি ওই মঞ্চেও সম্প্রতি কিছু অনুষ্ঠান হয়েছিল। কিন্তু সেই কনসার্ট যে একটা মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে এটা কল্পনাতীত ছিল। রাত্রিবেলা এই মর্মান্তিক খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই ক্ষুব্ধ হাজার হাজার মানুষ।
গতকাল গুরুদাস কলেজের হয়ে কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন প্রয়াত গায়ক। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন হঠাৎ। সঙ্গে সঙ্গে যে হোটেলে তাঁকে রাখা হয়েছিল সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই সমস্ত ঘটনার জন্যে এবার কাঠগড়ায় তোলা হলো গুরুদাস কলেজকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও দেখা গেছে আসন সংখ্যার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি সংখ্যক দর্শক উপস্থিত নাকি হয়েছিল ওই অডিটোরিয়ামে। বিপুল সংখ্যক দর্শক ঢুকে যাওয়ায় গেট ভেঙে গিয়েছিল। তাছাড়াও মঞ্চের ভেতরটা কি গরম হয়ে গিয়েছিল যে গায়ক বারবার মঞ্চ থেকে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছিলেন এসি চালিয়ে দিতে এবং লাইটগুলো বন্ধ করে দিতে। তবে এসি কাজ করছিলো না। আর সেই কারণে নাকি মঞ্চের ৭টি তারিখের মধ্যে ৫টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। ফলে এসি চললেও হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল।
একই অভিযোগ উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে অনেকেই করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি কেকেকে বারবার দেখা গিয়েছে স্টেজের উপরেই ঘাম মুছতে, জল পান করতে এবং তারপর আবার গান গাইতে।
প্রশ্ন উঠেছে এতকিছুর পরেও নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্তৃপক্ষ কী করছিল? এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নেটিজেনরা। সকলেই দাবি করছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। কেউ বলছে দায়ভার নিতে হবে নজরুল মঞ্চকে আবার কেউ বলছে এর দায়িত্ব নেওয়া উচিত গুরুদাস কলেজকে। আবার কেউ বলছে শিল্পী অসুস্থ অনুভব করলে অনুষ্ঠানের মধ্যেই তিনি দর্শকদের জানিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারতেন। হয়তো কেকে নিজেই টের পাননি তিনি কতটা অসুস্থ।