“১০ মাস গর্ভে ধারণ করছি…” গর্ভবতী শ্বেতা? দাম্পত্যের দশ মাসে নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত টেলিপড়ার সেরা জুটি শ্বেতা-রুবেলের! তবে কি খুব তাড়াতাড়ি সংসারে আসছে নতুন অতিথি?

টলিপাড়ার বহু তারকা দম্পতির ভিড়ে ‘রুবেল দাস’ (Rubel Das) এবং ‘শ্বেতা ভট্টাচার্য’র (Sweta Bhattacharya) সম্পর্কটা সব সময়ই আলাদা স্নিগ্ধতা এনে দেয়। তাঁদের গল্পটায় ঝলমলে তারকার চমক নেই, আছে একধরনের স্বস্তি। বহুদিনের বন্ধুত্ব, মাঝে লম্বা ব্যবধান আবার হঠাৎ কাছাকাছি আসা এবং শেষ পর্যন্ত সংসার বাঁধা। তাই দশ মাসের মাথায় শ্বেতার সাম্প্রতিক সমাজ মাধ্যম পোস্টে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে!

প্রসঙ্গত, ১৯ নভেম্বর নিজের সাজের একটি ভিডিও শেয়ার করে শ্বেতা জানান, তিনি এই দিনটা একটু বিশেষ ভাবে কাটাচ্ছেন। নেটপড়ার মানুষের কৌতূহল বাড়তে শুরু করে ঠিক এরপরেই। কারণ ভিডিওতেই তিনি আরও বলেন, “আজ বউয়ের মতো সেজেছি,কিন্তু বর নেই!” এর পরের লাইনটিই যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে! অভিনেত্রী বললেন, “১০ মাস ধরে ধারণ করছি, যদিও গর্ভে নয়, আমার মনে!” এই একটি বাক্যেই শুরু হয় জল্পনার ঝড়।

সত্যিই কি নতুন অতিথির আগমনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন শ্বেতা? কেউ কেউ ভেবেছিলেন এটি নিশ্চিতভাবে সেই দিকেই ইঙ্গিত, আবার অন্য কেউ বলেছিলেন নিছক মজার ছলে করা ভিডিও, তাও কিন্তু আলোচনা থামেনি। বিয়ের আগে-পরের সব মুহূর্তই যাঁরা খোলা বইয়ের মতো ভাগ করে নেন, সেই রুবেল-শ্বেতার দাম্পত্যে হঠাৎ এই রহস্যময়তা দর্শকদের আরও উত্তেজিত করে তুলেছে। টলিপাড়ার অন্দরেও এখন অনেক প্রশ্ন, এই দম্পতিকে নিয়ে।

তাঁর এই নীরব ভাবনার আড়ালে কি সত্যিই খুশির খবর লুকিয়ে আছে? তবে, বাস্তবটা কিছুটা অন্যরকম। শ্বেতা নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর কথার ব্যাখ্যা তিনি দেবেন প্রথম বিবাহবার্ষিকীর দিনে! অর্থাৎ এখনই কোনও ‘সুখবর’ নয়। তিনি কাউকে ভুল ধারণায় থাকতে দিতে চান না বরং নিজেদের দশ মাসের যাত্রাটাকেই মনে-প্রাণে ধারণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সেই বার্তায়। সন্তান নয়, বরং দাম্পত্যের প্রথম বছরকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখাই সেই ‘ধারণের’ অর্থ কি না, বাড়িয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুনঃ সন্তান জন্মের চার মাসের মধ্যেই দুরন্ত চরিত্রে কামব্যাক করতে চলেছেন অভিনেত্রী অহনা দত্ত! ‘মিশকা’-র ইমেজ ছাপিয়ে নতুন চরিত্রে দেখা মিলবে এবার তাঁর

তাই অভিনেত্রীর সেই ব্যাখ্যা পেতে, আপাতত সবার অপেক্ষা চলবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত। উল্লেখ্য, রুবেল ও শ্বেতার সম্পর্ক নিয়ে অনুরাগীদের ভালোবাসা যে কত গভীর, এই জল্পনাই তার প্রমাণ। নাচের ক্লাসের বন্ধুত্ব, মাঝখানে ভাঙন, ‘যমুনা ঢাকি’র সেটে আবার দেখা হওয়া– সব মিলিয়ে তাঁদের পথটা ছিল সময়সাপেক্ষ, কিন্তু স্থিতিশীল। তাই নতুন অধ্যায় আসুক বা না-আসুক, এই দম্পতির সহজ-সরল সম্পর্কই দর্শকদের কাছে বিশেষ হয়ে থেকে যাবে।