“সুস্থ বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছেন আর তার মৃ’তদে’হ ফিরিয়ে আনছেন!” “অজান্তেই সন্তানদের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন না তো?” পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে সরব তথাগত মুখোপাধ্যায়! নিয়ম ও অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি? ঠিক কী ঘটেছে?

কলকাতার যোধপুর পার্কে একটি পোষ্য পরিচর্যা কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ এসেছে, ‘পেট প্লাজা’ নামে যে গ্রুমিং সেন্টারটি নাকি কোনও সরকারি লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছে আর গ্রুমাররাও ঠিকমতো প্রশিক্ষিত নন। এই সব অভিযোগের মধ্যেই সামনে আসে একটি বিড়ালের মৃ’ত্যুর (Cat Death) ঘটনা। পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশও, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তারা তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। অবলা প্রাণীদের নিয়ে বরাবর সরব হতে দেখা যায়, তথাগত মুখোপাধ্যায়কে (Tathagata Mukherjee) । সম্প্রতি দিল্লিতে রাস্তার কুকুরদের নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পথেও নেমেছিলেন তিনি।

এদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হলো না। নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরলেন। তিনি প্রথমেই বলেন, “নমস্কার আমি তথাগত মুখোপাধ্যায়, কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলবার জন্য আজকের এই ভিডিওটা বানাচ্ছি। আপনারা হয়ত ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ঘুরতে দেখেছেন। আর যারা ভয়ে বা আতঙ্কে দেখতে পারেননি, তাদের জন্য ঘটনাটা একবার বর্ণনা করে দিচ্ছি। সম্প্রতি এক প্রবাসী মহিলা কলকাতায় পোষ্য পরিচর্যা কেন্দ্রর দরকার, কিছু না জেনেই ‘পেট প্লাজা’তে যান নিজের তিনটে বিড়ালকে নিয়ে পরিচর্যা করাতে।

প্রথম দু’টির ঠিকঠাক গ্রুমিং হয়ে গেলেও, তৃতীয়টির বেলায় এই মর্মান্তি ঘটনাটি ঘটে। সাধারণত, গ্রুমিং সংস্থার ব্লোয়ার আমাদের ঘরের থেকে অনেক শক্তিশালি হয়। আর বিড়ালদের শ্রবণ শক্তি অনেক বেশি। সেই ক্ষেত্রে কান বাঁচাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে, তবে এখানে একটি খাঁচার মধ্যে রেখে ওই পার্সিয়ান বিড়ালটির গায়ের জল শুকানো চলছিল। দীর্ঘক্ষণ বিড়ালটি নিজের অসস্তি প্রকাশ করতে থাকলেও, যিনি কাজটা করছিলেন থামেননি। পরবর্তীতে বিড়ালটি নিস্তেজ হয়ে পড়তেই তিনি ঘাড়ের চামড়া ধরে নিজের কাজ সারতে থাকেন। শেষে বিড়ালটি মারা যায়।” ঘটনার বর্ণনার পর তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, তা সত্যিই ভাবতে বাধ্য করবে!

তিনি বলেন, “অনেকেই বলছেন, ওই কর্মচারীর দোষ, ওকে স্বস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, শুধুমাত্র তাঁর নাম শাহাজাহান বলেই কি এই দাবি? যদি তাঁর নাম ঘোতন বা অন্যকিছু হতো? আসলে দোষী হচ্ছে সেই পোষ্য পরিচর্যা কেন্দ্র! তাদের উচিৎ ছিল যে, প্রশিক্ষণ দিয়ে তবেই কাজে রাখা। নাহলে এই নিরীহ মানুষগুলো পেটের দায়ে কাজ করতে এসে ফেঁসে যায়। একটা পোষ্যদের খাওয়ার এবং খেলনার দোকানে হঠাৎ করে ডাক্তার বসছে, গ্রুমিং চলছে, এগুলো সন্দেহজনক না! আমাদেরও যেমন বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন ডাক্তার লাগে, ওদের ক্ষেত্রেও তাই।

আরও পড়ুনঃ ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো! নীল-তৃণার সম্পর্কের দূরত্ব ফের শিরোনামে! বছরের পর বছর বিচ্ছেদ-গুঞ্জন উড়িয়ে, এবার নীরব তারকা দম্পতি! তবে কি সত্যিই ভাঙছে ‘তৃনীল’-এর সংসার? নেপথ্যে কারণ কী?

কিন্তু অধিকাংশ ডাক্তারই ইচ্ছা করে প্রথমে ভুল চিকিৎসা করে। আপনাদের সতর্ক হতে হবে আরও, নিজেদের এইসব সন্তানদের নিয়ে! আমাদের দেশে ওদের জন্য আইন নেই বা তেমন কোনও বিশেষ সুবিধাও নেই, তাই নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে। খোঁজ নিয়ে তবেই সন্তানদের জন্য ডাক্তার হোক বা গ্রুমিং সংস্থা সেটা ঠিক করবেন। নাহলে এমন বেআইনি কাজ করা মানুষগুলো আরও বেশি সাহস পেয়ে যাবে। একবার ভেবে দেখুন, সুস্থ বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছেন আর তার মৃ’তদে’হ ফিরিয়ে আনছেন! অজান্তেই সন্তানদের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন না তো?” এরপর পোষ্য পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর নিয়মনীতি মানার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে আর উঠেছে প্রশ্ন, গ্রুমিং সেন্টারগুলো ঠিক কতটা নিরাপদ?