জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুলের জীবনে চলে এসেছে নতুন মোড়। পরাগের অসুস্থার কারণে এখন সে কি আবার বিয়ে করবে পরাগকে? আর যদি শিমুল পরাগকে আবার বিয়ে করে তবে কি হবে শতদ্রুর? যে ছেলেটা শিমুলকে শুরুর থেকে ভালোবেসে এসেছে, সবসময় তার পাশে থেকেছে কি হবে তার? কি আছে তার ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠছে ধারাবাহিকের অনুরাগীদের মনে। যদিও অনেকেই অসন্তুষ্ট শিমুলের এই রূপ কাজে।
ধারাবাহিকের শুরুর থেকেই আমরা দেখেছি শতদ্রুর চাকরি না পাওয়ার কারণে তাকে ছেলে স্কুল শিক্ষক পরাগকে বিয়ে করে শিমুল। সেখানে গিয়ে সে শুরু করে থাকতে কিন্তু তাদের মধ্যে বনিবনা হয়নি কোনও সময় ভালোভাবে। স্বামীর সেইভাবে কখনও যত্ন নিতে দেখা যায়নি শিমুলকে। পরাগের তার সমস্ত কিছুতেই উৎসাহিত না করায় এবং তার প্রতি বাধ্য বাধকতা সে একদমই পছন্দ করত। এমনকি পরাগ তাকে যাই বলত সেই বিষয়টিকে অন্যভাবে নিতে শুরু করে শিমুল। ধারাবাহিকের শুরুতে যদিও তেমন খুব খারাপ ভাবে আমরা পরাগকে দেখিনি কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকে পরাগের চরিত্রটি হয়ে ওঠে ভিলেনের চরিত্র।
একসময় যাওয়ার পর সত্যিই শিমুল তাকে আর স্বামী মর্যাদা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। শিমুল নিজেও কখনও পরাগকে সেইভাবে নিজের মনের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেনি, এমনকি তাকে সম্পুর্নভাবে নিজের স্বামী হিসেবে মেনে নেওয়ারও চেষ্টা করেনি শিমুল। পরাগ তাকে কাছে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সে বারবার দূরে ঠেলে নিয়েছে পরাগকে। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে প্রতীক্ষা আর পলাশ। শিমুল ভালো নেই শোনার পর শতদ্রুও ফিরে আসে শিমুলের জীবনে।
শতদ্রু চাকরি পেয়েছে জেনে বেশ খুশি হয় শিমুল। তবে শতদ্রু শিমুলের পরিস্থিতির কথা শুনে তারদিকে বাড়িয়ে দেয় বন্ধুত্বের হাত কিন্তু শিমুল সর্বদাই তার থেকে সুবিধা নিয়েও তাকে বারবার অপমান করিয়ে গেছে। শিমুল আর তার বান্ধবীদের পরিচিতি গড়ে তোলার জন্যই শতদ্রু তাদের নতুন অনুষ্ঠান এনে দিলেও শিমুল তখন তার দিকটাকে একবারও ভেবে দেখিনি। পরাগও যখন শিমুল এবং শতদ্রুর মেলামেশা দেখে সেটা তার একদম পছন্দ হয়নি। এমনকি শিমুল যে তার মাকেও তার থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে এটা ভেবেই পরাগ শিমুলকে ডিভোর্স দেওয়ার সেটা করে। যদিও শিমুল তাকে ডিভোর্স দিতেও থেকে যায় ওখানেই।
এমনকি পরাগ অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে দেখেও তার প্রতি কোনও ভালোবাসা জাগেনি শিমুলের। প্রতীক্ষা পরাগকে বিষ দিয়েছে জেনে পরাগ যখন শিমুলের কাছে ক্ষমা চায় তাও তাকে শিমুল ক্ষমা করেনি এমনকি তাকে বলে শিমুলকে সে এখনও কিছুই মনে করেনা। সবকিছুর কথা জেনে বুঝে শতদ্রু তাকে আপন করার চেষ্টা করলেও শিমুল তাকে দূরে ঠেলে দেয়। এমনকি শিমুল জেলে জানতে পেরে যখন শতদ্রু নিজের বিয়ে ছেড়ে এবং তাকে কোর্ট থেকে ছাড়ায় তখন শিমুলও তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় বিয়ে করার। কিন্তু পরাগের কথা শুনেই সে একবারও শতদ্রুর কথা না ভেবেই চলে যায় পরাগের কাছে।
আরো পড়ুন: খিলখিল উদ্যালকের মেয়ে! ময়ূরাক্ষীকে স্তব্ধ করে সপাট উত্তর কোজাগরীর! আগাম পর্বে বিরাট ধামাকা
সেখানে গিয়ে তার প্রাক্তন স্ত্রী হিসেবে সইও করে বন্ড পেপারে। কিন্তু এত সবকিছুর একাংশও সে জানানোর প্রযোজনা করেনি শতদ্রুকে। উল্টে তার বন্ধুরা সেই কথা বললে সে মানা করে দেয়। এখনও যখন ডাক্তার জানিয়েছে পরাগ চাকরি করতে পারবে না তখনও সে পরাগের চাকরি তাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে চায় তখন তিনি বলে পরাগের স্ত্রী সেই চাকরি পাবে। তবে এখনও প্রশ্ন উঠছে শিমুল শতদ্রুর সাহায্যেও চাকরি খুঁজে এই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পাবে কিন্তু সে যদি সেই চাকরির জন্য পরাগকে আবার বিয়ে করে তবে শতদ্রুর কি হবে? তাহলে কি সে ঠকাচ্ছে না একসঙ্গে দুজন ছেলেকেই? প্রশ্ন উঠছে সকলের মনে।