বর্তমান বিনোদন জগতে সেলিব্রিটি হওয়া মানেই অনেক সময়ই রাজনৈতিক আলোচনার সঙ্গে যুক্ত হওয়া। অনেকে ভাবেন, পরিচিত মুখ হওয়ায় তারা রাজনীতিতে সহজেই প্রবেশ করতে পারেন। তবে সবাই যে রাজনীতিতে যুক্ত হতে চায় তা নয়। সম্প্রতি বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা পৌষালী ব্যানার্জির সাক্ষাৎকারে এমনই এক প্রশ্ন ওঠে, যা দর্শকদের কৌতূহল বাড়িয়েছে।
গায়িকা পৌষালী ব্যানার্জি বহু বছর ধরে দর্শকদের মনোরঞ্জন করছেন তাঁর মধুর কণ্ঠ ও চমকপ্রদ পারফরম্যান্স দিয়ে। স্টেজ শো, মিউজিক ভিডিও এবং লাইভ কনসার্টের মাধ্যমে তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। তাঁর গান শুধুমাত্র বিনোদনই দেয় না, বরং শ্রোতাদের সঙ্গে আবেগগত সংযোগও তৈরি করে। ফ্যান ফলোয়িং এতটাই শক্তিশালী যে, যে কোন মঞ্চেই তিনি উপস্থিত হন, তা মুহূর্তেই আলোচনার বিষয় হয়ে যায়।
বিনোদন জগতে সম্প্রতি অনেক তারকা রাজনৈতিক আঙ্গিনায় পা বাড়াচ্ছেন। অভিনেতা, অভিনেত্রী, এবং গায়করা কখনো স্বতঃস্ফূর্তভাবে আবার কখনো দলের আহ্বানে রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন। তবে পৌষালী ব্যানার্জি এ পথ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকছেন। তিনি স্পষ্টত জানিয়েছেন যে, রাজনীতি তার জন্য নয় এবং সে নিজের গানের জগতে একনিষ্ঠ থাকতে চান।
সাক্ষাৎকারে পৌষালী ব্যানার্জি বলেন, “আপনার বাড়ির বাথরুম পরিষ্কার করতে আমি রাজি আছি, কিন্তু আমাকে রাজনীতিতে নামতে বলবেন না। আমি লোককে কনভেন্স করার ক্ষমতা রাখি না। যদি কেউ আমাকে ভোট দিতে না চায়, আমি তা মানিয়ে নিতে পারি না। তাই রাজনীতিতে আমার কোনো আগ্রহ নেই।” তিনি আরও জানান যে, নিজের সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখাই তাঁর প্রিয় এবং নিরাপদ পথ।
“আমি ইংরেজি পারি না…নিজেকে কাজের মাসি মনে হত, যাদের পেটে সন্তান দিয়ে স্বামীরা পালিয়ে যায়!” সৌম্যর অভিযোগের পাল্টা, দাম্পত্য জীবনের অন্ধকার অধ্যায় এবার সামনে আনলেন স্বরলিপি! ঠিক কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুনঃ “আমি ইংরেজি পারি না…নিজেকে কাজের মাসি মনে হত, যাদের পেটে সন্তান দিয়ে স্বামীরা পালিয়ে যায়!” সৌম্যর অভিযোগের পাল্টা, দাম্পত্য জীবনের অন্ধকার অধ্যায় এবার সামনে আনলেন স্বরলিপি! ঠিক কী ঘটেছিল?
পৌষালী ব্যানার্জির এই অবস্থান স্পষ্ট করে যে, সব জনপ্রিয়তা বা মানুষের সামনে থাকা মানেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া নয়। তিনি তাঁর শিল্পকর্ম ও গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চান, যেখানে রাজনীতি কোনো বাধা নয় বরং একটি অনর্থক চিন্তা। বিনোদনের জগতে তাঁর এই নিখাদ উপস্থিতি দর্শকদের আনন্দ দিতেই চলবে।






