তুমি আমার মধ্যে বেঁচে থাকবে! নতুন বছরেই খারাপ খবর, ২২ দিনের সংগ্রাম শেষে প্রিয়জনকে হারালেন রণিতা

বর্তমান সময়ে টলি অভিনেত্রীরা শুধুমাত্র টেলিভিশনের পর্দায় নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার (social media) মাধ্যমে তাদের জীবনের একাধিক দিক আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন। আমরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্ত দেখে মুগ্ধ হই, কিন্তু কখনো কখনো এমন কিছু ঘটে যা আমাদের স্তব্ধ করে দেয়। জীবন, মৃত্যু, সম্পর্ক— এই সবই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের আবেগের খোলামেলা প্রকাশ। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি ঘটে, যা নাড়া দিয়েছে দর্শকদের হৃদয়কে।

বেশ কিছু দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী, যিনি এক সময় টেলিভিশনের পর্দায় দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তার জীবন চলছিল কিছুটা সাধারণভাবেই, কিন্তু সম্প্রতি একটি দুঃখজনক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় তিনি আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষতির কথা জানান। তবে, এই খবরের সঙ্গে সাথেই তার পোস্টে এক গভীর আবেগের প্রকাশ ঘটে যা তাকে আরও কাছ থেকে জানার সুযোগ দেয়।

অভিনেত্রী আর কেউই নন তিনি হলেন টেলিভিশন জগতের অন্যতম অভিনেত্রী রণিতা দাস। ইষ্টিকুটুম ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনের পর্দায় পরিচিতি পাওয়া রণিতা দাস, একটি বিশিষ্ট টলি অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অভিনয়ে রয়েছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। একদিকে যেখানে দর্শক তাকে পর্দায় দেখতে অভ্যস্ত, সেখানে অন্যদিকে তিনি তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিকও তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি, তিনি একটি দুঃখজনক ব্যক্তিগত ঘটনা শেয়ার করেছেন যা তার জীবনের এক দুঃসময়কে প্রকাশ করে।

heartbreaking

রণিতা দাস শুক্রবার তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে তিনি তার প্রিয় দিদার মৃত্যুর খবর দেন। তিনি লিখেছেন যে, দিদা ২২ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং ১৮ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর শেষমেশ ৩১ ডিসেম্বর মারা যান। রণিতা জানান, তার দিদা তার জীবনের বড় আশীর্বাদ ছিলেন, যিনি তাকে প্রতিটি দুঃসময়ে সাহস জুগিয়েছেন। মৃত্যুর আগে, দিদা তার পাশে ছিলেন এবং তাঁকে উৎসাহিত করেছেন। রণিতা তার প্রিয় দিদাকে হারিয়ে গভীর শোকের মধ্যে রয়েছেন, তবে জানেন যে, তার দিদা এখন তার দাদুর সঙ্গে পরপারে একত্রিত হবেন।

আরও পড়ুনঃ রিসেপশন পার্টিতে এন্ট্রি জিনিয়ার! কী ঝড় উঠতে চলেছে আদৃত-শুভর জীবনে?

রণিতা তার আবেগঘন পোস্টে আরো জানান, “দিদা আমার হাত ধরে আমাকে আগলে রাখতেন, আর শর্তহীন ভালোবাসায় আমাকে ভরিয়ে দিতেন।” তার দিদার মৃত্যু তাকে প্রচণ্ডভাবে কষ্ট দিয়েছে, তবে রণিতা জানেন যে, দিদা তার জীবনে যে অমূল্য শিক্ষা দিয়েছেন তা তাকে সবসময় পথ দেখাবে। “আমি জানি, দাদু এখন দিদার সঙ্গে আছেন। তাদের আদর্শ ও ঐতিহ্য আমার মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকবে।”