৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব যেন এ বার পুরনো সম্পর্কগুলিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনছে। যারা একসময় নানা কারণে শাসকদলের ‘অপছন্দের তালিকায়’ ছিলেন, তাঁদেরও দেখা যাচ্ছে উৎসব প্রাঙ্গণে। পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়দের মতোই সোমবার রাজা চন্দ পরিচালিত ‘হালুম’ ছবির সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। এই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘লীলাময়ী’-র ভূমিকায়।
এক সময় শোনা গিয়েছিল, আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদী অবস্থান নেওয়ার পর তাঁর নাটক বা ছবি আর সরকারি মঞ্চে জায়গা পাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গেই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাকে প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবমঞ্চে দাঁড়িয়ে কি দূরত্ব ঘুচছে? সুদীপ্তা অবশ্য সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন, “উৎসবের সঙ্গে বা বিনোদনমঞ্চের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ কোনও দিনই ছিল না, দূরত্বও নয়। গত বারও আমার তিনটি ছবি দেখানো হয়েছিল।”
তবে প্রশ্ন থেকে যায়— তাহলে তাঁকে সরকারি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যায় না কেন? অভিনেত্রী অকপট, “কাজ পাচ্ছিলাম না— এটা ভুল তথ্য। কিন্তু আমার ছবি সরকারি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয় না, নাটক সরকারি মঞ্চে ওঠে না— এটা একদম সত্যি।” একটু থেমে যোগ করেন, “গত বারও উৎসবে আমার ছবি ছিল, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পাইনি। তাই এখনই বলব না যে পরিস্থিতি বদলেছে।”
সুদীপ্তা জানিয়েছেন, পেশাগত দিক থেকে কারও সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কও স্বাভাবিক। তবুও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদ ভবিষ্যতেও চলবে— এই বিশ্বাস নিয়েই এগোচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বড় ব্রেন স্ট্রোকের পর শুটিংয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী মল্লিক! প্রথম দিন সেটে গিয়ে সংলাপ বলতে পারব কি না, সেটা নিয়েই ভয় করছিলাম! অকপট অভিনেত্রী
অভিনেত্রীর কথায়, “আমি সব সময় কাজকে ভালোবেসেছি। উৎসব মানেই শিল্পীদের মিলনমেলা, তাই এর অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। কিন্তু যত ক্ষণ না সরকারি প্রেক্ষাগৃহে আমার ছবিগুলো জায়গা পাচ্ছে, তত ক্ষণ পরিস্থিতি বদলেছে— এটা বলা কঠিন।”






