শ্রুতি দাস (Shruti Das), যিনি বাংলার টেলি দুনিয়ায় ‘ত্রিনয়নী’ নামে পরিচিত। কাটোয়ার এই মেয়ের জীবনে এসেছে বহু প্রতিকূলতা, কিন্তু সে থেমে থাকেনি। বরাবরই লক্ষ্যে স্থির থেকেছে শ্রুতি। কাটোয়া থেকে কলকাতার যাত্রাটা তাঁর মোটেই সহজ ছিল না। এমনকি, আজকের দিনে দাঁড়িয়েও তাঁকে গায়ের রং নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে।
অভিনেত্রীর জি বাংলা ত্রিনয়নী ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। এমনকি, ত্রিনয়নী দেশের মাটি ধারাবাহিকে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করলেও দীর্ঘদিন ধরে তাকে বসে থাকতে হয়েছে সুযোগের জন্য। প্রসঙ্গতা বলা যায়, অভিনেত্রী ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের পরিচালক স্বর্ণেন্দু মজুমদারের সঙ্গে ২০২৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শ্রুতির জীবনে রাঙা বউ ধারাবাহিক যেনো ম্যাজিকের মত কাজ করেছে।সিরিয়ালের পর থেকেই রুপোলি পর্দায় পেতে থাকে একের পর এক কাজের সুযোগ। গ্রামের মেয়ে হয়েও শহরে এসে সফল নায়িকা হয়ে অনেকের কাছেই দৃষ্টান্ত তৈরী করেছেন তিনি। এখন, তাঁর নিজের গ্রামে গেলে অনেকেই ভীড় করে দেখতে আসে তাঁর বাড়িতে।
আরও পড়ুনঃ মাতৃভাষা সঙ্কটে! সবার আগে নিজের সন্তানকে বাংলা ভাষা শেখাবো, অকপট পরমব্রত
শ্রুতি, বেশ কিছুদিন আগে তাঁর মায়ের দেশের বাড়িতেও ঘুড়ে এসেছেন। শহরের অভিনেত্রীকে দেখতে পেয়ে ঘিরে ধরেছে অসংখ্য মানুষ। সেই অভিজ্ঞতাও তিনি তুলে ধরেছে সমাজ মাধ্যমে। ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “মায়ের দেশের বাড়ি,গিধনী,মেদিনীপুর। এ আমার দাদুর ভিটে,সব আছে অথচ কেমন ফাঁকা! দাদু দিদুন আজ আর নেই,বড়মা বড় বাবা তো নেই-ই। শেষ এই গ্রামে যাওয়া প্রায় সতেরো আঠারো বছর আগে, তখন আত্মীয় স্বজন মিলে উঠোন ভর্তি ছিলো। এদিন উঠোন ভর্তি হলো আমায় দেখতে! এই গ্রামের নাতনি সিরিয়ালের নায়িকা! তাকে নাকি “অরিজিনালি” চাক্ষুষ করে ছুঁয়ে দেখার সাধ ছিলো তাদের!
সেই আশা পূর্ণ হলো। মা বাবা দূরে দাঁড়িয়ে আনন্দ পাচ্ছিলেন। মা ছোটোবেলায় এখানে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন, হয়তো ভাবেননি তার মেয়েকে দেখতে পাশের গ্রাম থেকে ভোর রাত থেকে সারা দিন মেয়ে বউ বুড়ো বুড়ি কচিকাঁচারা ছুটে এসে ভীড় করবেন। বেশ মজা লাগে,বুক ঢিপঢিপ করে,আনন্দে কান্না পায়,জয়ের কান্না! কিছু তো পেরেছি!”