টলিপাড়ায় বিভিন্ন সময় বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে। আবার সেই সমস্ত তারকারা সম্পর্কে জড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষের সঙ্গেই। আবার কিছু কিছু সম্পর্ক নিয়ে কে’চ্ছা’র অন্ত হয়নি। এই যেমন করোনা কালীন সময়ে অর্থাৎ ২০২১ সালে অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়নের কারণে প্রবলভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। যদিও সেই সময় ব্যবসায়ী নিখিল জৈনর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন নুসরত।
কিন্তু শোনা যায় নিখিলের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর প্রেমের টানে নিজের স্বামীকে ছেড়ে চলে আসেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সেই সময় এক প্রকার শিরোনাম ছিনিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান ও অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। এরপর জানা যায় অভিনেত্রীর গর্ভে রয়েছে যশ দাশগুপ্তর সন্তান। সমালোচনার মুখে স্বীকার না করলেও পরে নুসরত স্বামী হিসেবে স্বীকার করে নেন যশ দাশগুপ্তকে। নুসরতের বিবাহিত জীবনকে ভাঙার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল যশকে। ব্যাপক কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
আর ওই একই দোষে দোষী হয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম গুণী এবং প্রতিভাবান শিল্পী পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। টলিউড, বলিউড সর্বত্রই তার অবাধ গতিবিধি। এই মুহূর্তের অন্যতম ব্যস্ততম অভিনেতা তিনি। আজ তার বিয়ে। তিনি বিয়ে করছেন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তীকে।
তবে ইন্ডাস্ট্রিতে পিয়া চক্রবর্তীর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি বাংলার জনপ্রিয় সুরকার গায়ক অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। ২০২১ সালে অনুপম রায় ও তার স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। আর তাদের এই বিচ্ছেদে রীতিমতো হতবাক হয়ে যায় টলিপাড়া। টুইট করে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন দুজনেই। তারা জানিয়ে ছিলেন এবার থেকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে নয় বরং বন্ধু হিসাবেই তারা একে ওপরের পাশে থাকবেন।
যদিও আজ নিজের বন্ধুর বিয়েতে অনুপম আসবেন কিনা জানা নেই। তারা জানিয়েছিলেন, তাদের দুজনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক মনে রাখার মতোই ছিল। প্রচুর মজা, আনন্দে, সুখে কেটেছে তাদের ব্যক্তিগত সময়। কিন্তু বর্তমানে ব্যক্তিগত মতানৈক্য এবং ভাবনার ফারাকের জন্য স্বামী-স্ত্রী হিসাবে তারা আর একসঙ্গে থাকতে পারছেন না। একইসঙ্গে দু’জনেই নিজেদের বন্ধু, পরিবার, আত্মীয়, শুভাকাঙ্খীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। যারা প্রতিটা পদে তাদের সমর্থন করেছেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছিল দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, ছয় বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক, দারুণ বোঝাপড়া সত্ত্বেও কেন হয়ছিল এই বিচ্ছেদ? তখনই
শোনা গিয়েছিল। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পিয়া চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠতাই এই বিচ্ছেদে অনুঘটকের কাজ করেছে। দীর্ঘদিনের বিদেশি বান্ধবী ইকার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর পরমব্রতর সঙ্গেই নাকি বেশ কিছু দিন ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনুপম-পত্নী। যদিও সেই সময় সবটাই গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিলেও অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যি হওয়ার মুখে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ থেকে ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় তৈরি কমিটিতে একসঙ্গে কাজ করার সূত্রেই একে অপরের কাছাকাছি এসেছেন পিয়া-পরমব্রত। যদিও অনেকেই বলছেন নুসরতের ঘর ভাঙায় শুধুমাত্র অপমান, কটাক্ষ, গালাগালি জুটে ছিল যশের। সেই একই দোষে দোষী তো পরমব্রতও। তাহলে তাকে কেন শুধুমাত্র শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে? কটাক্ষের ভাগীদার তো তিনিও!