রুবেল ছাড়া অন্য কারর হাত থেকে সিঁদুর পরিনা! দুজনে জুটিতে ফিরলে খুব ভালো হয়! রুবেলের সঙ্গে একসাথে পর্দায় ফেরার ইঙ্গিত দিলেন শ্বেতা

টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya) রুবেল দাস (Rubel Das)—তাঁদের প্রেমের গল্প যেন একেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য! জি বাংলার ‘যমুনা ঢাকি’ (Jamuna Dhaki) ধারাবাহিকের সেট থেকে যে সম্পর্কের শুরু, তা বাস্তব জীবনের পরিণতি পেয়েছে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি। দীর্ঘদিনের প্রেম, একসঙ্গে কাটানো অসংখ্য মুহূর্ত, ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের বাঁধন আরও মজবুত করে তাঁরা একে অপরের জীবনের সঙ্গী হয়েছেন।

কিন্তু বিয়ের পর নতুন দম্পতি মানেই শুধুই রোমান্স? একেবারেই না! শ্বেতা-রুবেল দু’জনেই নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। যদিও তাঁরা এখন একই স্টুডিওতে শুটিং করেন, তবে তাঁদের পথ আলাদা—শ্বেতা অভিনয় করছেন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (Kon gopone mon bhesheche) আর রুবেল সদ্য শুরু হওয়া ‘তুই আমার হিরো’-তে (Tui Amar Hero) । ব্যস্ততার মধ্যে হানিমুনের সময় পর্যন্ত পাননি তাঁরা! তবে শ্বেতার কথায়, “রুবেল এতটাই ডেডিকেটেড ওয়ার্কহোলিক যে, কাজ না থাকলেই ওর মধ্যে বিষণ্ণতা দেখা যায়,

Anondi 8 November Episode জি বাংলা

আমি সেটা খুব বুঝতে পারি।” স্বামীকে এত কাছ থেকে বোঝার এই ক্ষমতাই তাঁদের সম্পর্কের অন্যতম বড় শক্তি। রুবেলও কিন্তু কম রোম্যান্টিক নন! তিনি শ্বেতাকে শুধুমাত্র জীবনসঙ্গী নন, বরং নিজের “লেডি লাক” বলেও মনে করেন। তাঁর বিশ্বাস, শ্বেতার জীবনে আসার পর থেকেই তিনি একের পর এক ভালো কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। এই বিশ্বাস, এই পারস্পরিক বোঝাপড়াই তাঁদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে।

আরও পড়ুনঃ চৈতন্যদেব রূপে আত্মপ্রকাশ হবে দিব্যজ্যোতির! অনুরাগের ছোঁয়া থেকে তবে কি এবার বিদায় নিতে চলেছে সূর্যর চরিত্র?

শ্বেতা নিজেও বলেন, “আমরা শুধুই সংসার করছি না, একসঙ্গে পথ চলছি, সব কিছু ভাগ করে নিচ্ছি। সংসার শব্দটাকে আমরা কখনওই বোঝা হতে দেব না।” তবে তাঁদের প্রেমের গল্পের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায় হল, শ্বেতা বহুবার সিরিয়ালে বিয়ে করলেও কখনও সিঁদুর পড়েননি বরং ব্যাবহার করেছেন কামধেনু রং বা আবির! কিন্তু বাস্তব জীবনে, একেবারে প্রথমবার রুবেলের হাতেই সিঁদুর পরেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁদের দুষ্টু-মিষ্টি সম্পর্ক মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

কখনো রুবেল মজা করে নিজেকে শ্বেতার সন্তান বলেন, তো কখনো শ্বেতাকে কোলে বসিয়ে ক্যাপশনে লেখেন “বউ যখন পুচকি”! অর্থাৎ, বিয়ের পরেও তাঁদের সম্পর্ক ঠিক প্রথম দিনের মতোই মিষ্টি আর প্রাণবন্ত রয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আবারও একসাথে পর্দায় দুটি বাঁধতে চান দুজনেই। বলাই যায়, প্রেম, বন্ধুত্ব আর বিশ্বাস—এই তিনে মিশে তৈরি হয়েছে শ্বেতা-রুবেলের অটুট বন্ধন!