আজ তিনি টলিউডের সফল অভিনেতা। পরিচিত হয়েছেন বামাক্ষ্যাপা রূপে। আশা করি এতক্ষণে আপনারা বুঝেই গেছেন আমরা কার কথা বলছি। হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর।
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে এমন কোন বাঙালি দর্শক নেই যিনি এই অভিনেতাকে চেনেন না। বড় পর্দায় সেভাবে দেখা না গেলেও বাংলা ধারাবাহিকে দাপিয়ে কাজ চলেছেন এই বাঙালি অভিনেতা।
মহাপীঠ তারাপীঠ,সাত ভাই চম্পা,ওম নমোঃ শিবায়,এসো মা লক্ষ্মীর মতো ধারাবাহিকে পরপর অভিনয় করেছেন তিনি। সবগুলোই আধ্যাত্মিক চরিত্র। খুবই সাধারণ অথচ খাঁটি অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
ছোট পর্দার পর এবার ওয়েব সিরিজে অভিষেক হবে এই অভিনেতার। পরিচালক রাজদীপ ঘোষের আসন্ন ‘ভাগাড়’ সিরিজে দেখা যাবে সব্যসাচীকে। ২০১৮ সালে সেই ‘ভাগাড়’ কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে গল্প লেখা হয়েছে। বিরিয়ানিতে থাকা পচা বিড়ালের মাংস কেড়ে নিয়েছিল নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী পরেশের একমাত্র সন্তানকে। তারপর থেকেই ভীতু, শিরদাঁড়াহীন, গোবেচারা নিম্নবিত্ত মানুষটাকে সহ্য করতে পারে না স্ত্রী পুষ্প। সেই পরেশের চরিত্রে অভিনয় করছেন সব্যসাচী। এবার সব্যসাচী সম্পূর্ণ অন্য চরিত্রে ধরা দেবেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজের জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়ের কথা প্রকাশ করেছেন। জানান, জীবনে অনেক না খেয়ে কাটিয়েছি, হোটেলে কাজ করেছি, বাসন মেজেছি, এমনকি ঘরও মুছেছি, জীবনে সব কিছু করেছি। কিন্তু কখনও তিনি আত্মহত্যার কথা ভাবেননি। একটা সময় তাঁকে কেউ চিনত না, অনেক কষ্ট করে এই জায়গাটায় আসতে হয়েছে তাঁকে।