স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chirosokha) দিনে দিনে দর্শকদের মধ্যে এক আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। আর এই ধারাবাহিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘স্বতন্ত্র বোস’ (Sudip Mukherjee) — যিনি একদিকে কমলিনীর প্রয়াত স্বামীর পুরনো বন্ধু, আবার অন্যদিকে এক নিঃশব্দ সাহচর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। সমাজের চোখ রাঙানি বা বিধবা নারীর জীবনে ‘দ্বিতীয় সুযোগ’ নিয়ে যতো প্রশ্নই উঠুক না কেন, স্বতন্ত্র বোস নিঃশব্দে পাশে দাঁড়ান কমলিনীর।
স্বতন্ত্রর চরিত্রটি জটিল, সংবেদনশীল এবং গভীর। তিনি প্রেমিকের চেয়ে বেশি একজন সহচর, যিনি কমলিনীর প্রতি নিজের অনুভূতি লুকিয়ে রাখেন না, বরং তা স্পষ্ট করে জানান দেন। সমাজ যেখানে এখনও বিধবার নতুন সম্পর্ককে ভালো চোখে দেখে না, সেখানে ‘চিরসখা’ সাহসিকতার সঙ্গে সেই ট্যাবু ভাঙছে। ঠিক এই জায়গাতেই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য আর বাস্তবের গল্প যেন অদ্ভুতভাবে মিল খেয়ে যায়! কেউ কেউ বলছেন লীনাদীর লেখনিতে অভিনয় করলে এমনটা বাস্তবে হওয়া তো স্বাভাবিক!
অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী, যিনি এই ধারাবাহিকে স্বতন্ত্র বোসের চরিত্রে অভিনয় করছেন, সম্প্রতি নিজেই আইনি বিবাহ বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করেছেন। বহুদিন ধরে গুঞ্জন চললেও, প্রথমে বিচ্ছেদের ঘোষণা করে তারপর যেটাকে সমাজ মাধ্যমে ‘ফান পোস্ট’ বলে হালকা করে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন পৃথা চক্রবর্তী। সেটাই যে আসল সত্যি শেষমেশ তা প্রমাণ করল আদালতই! এবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আদালতের নির্দেশে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ (legally divorce) হল অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী ও পৃথা চক্রবর্তীর।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রাক্তন স্ত্রী পৃথাকে নিয়ে সমাজ মাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন তিনি। সুদীপ লেখেন — “এটা সত্যি যে আমি এবং পৃথা আলাদা হয়ে গেছি… কিন্তু বিষয়টা একান্ত ব্যক্তিগত… আমি সমাজ মাধ্যমে এটা আনতে চাইনি, তাই লুকানোর চেষ্টা করেছিলাম… কিন্তু কিছু নেটিজেন পৃথাকে অপমান করছেন, আমি তা কঠোরভাবে নিন্দা করি… ও আমার সন্তানের মা… আমরা একে অপরকে সম্মান করি… এবং বন্ধুত্ব থাকবে, যেকোনো অবস্থানে।”
আরও পড়ুনঃ ” আমাদের দেখে লোকেরা সিনেমা সিরিয়াল বানাচ্ছে! শ্রীময়ী-কাঞ্চন ‘ট্রেন্ড সেটার”, ‘ইতিহাসে নাম তুলেছ!’ শ্রীময়ীর মন্তব্যে নেটপাড়ায় হাসির তুফান!
এই পোস্ট সামনে আসতেই নেটপাড়া ফের সরগরম। কেউ বলছেন “চিরসখার প্রভাবে অবশেষে এটা হতেই হলো”, আবার কেউ কটাক্ষ করে লিখছেন “পৃথার জায়গায় এখন সুদীপ কোনো কমলিনীকে বসিয়েছেন।” স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে— এটা কি শুধুই বাস্তবের গল্প, নাকি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার প্রভাব? নেটিজেনরা মজার ছলে বলছেন, “চিরসখা এফেক্ট!” — যেন পর্দার সংলাপই বাস্তব জীবনের প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এসেছে!
খাওয়ানোর নাম করে মায়ের রান্না নিয়ে ব্যবসা? মায়ের স্বপ্নকে ঘিরে ব্যবসার অভিযোগ! নোংরা কটাক্ষের মুখে বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা!