টাকার জন্য সব করতে পারি! শিরায় শিরায় রক্ত আমি ট্রোলিংয়ের ভক্ত’! বাজে গানের গলা নিয়ে অকপট কৌশানী
বাংলা সিনেমার জগতে সব থেকে বিতর্কিত সব থেকে কটাক্ষবিদ্ধ নায়িকা তিনি। পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় এই অভিনেত্রীকে ঘিরে সমালোচনা। চলে বিস্তার কটাক্ষ। যদিও কটাক্ষকে দারুন ভাবেই সামলাতে পারেন তিনি। তিনি নিজের মুখেই বলেন তিনি সমালোচকদের বড় ভক্ত।
বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই কার কথা বলছি? হ্যাঁ কথা বলছি অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের। তিনি এই মুহূর্তে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে নিজের অভিনয় প্রতিভার থেকে তিনি বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সমালোচিত হয়ে। তিনি বাংলা সিনেমার দি মোস্ট লিডিং হিরো বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। শীঘ্রই হয়তো বিয়ের সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়বেন তারা। আর সেই নিয়েও কম কটাক্ষ হজম করতে হয়নি তাকে।
আসলে তিনি যে অত্যন্ত খারাপ মানের অভিনেত্রী তা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন দর্শকরা। তবে এবার দর্শকদের ভুল প্রমাণিত করার জন্য তিনি একটি জমজমাট ওয়েব সিরিজ নিয়ে ফিরেছেন। রাজ চক্রবর্তী পরিচালনায় ‘প্রলয় টু’ ওয়েব সিরিজের অভিনয় করেছেন কৌশানী। তাকে এই ওয়েব সিরিজে নেওয়ার জন্য রীতিমতো কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকেও।
এই বিষয়ে ভালোভাবে অবগত কৌশানীও। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তিনি ভালোভাবেই জানেন যতটা তার নায়িকা হিসেবে পাওয়ার ছিল ততখানি তিনি পাননি। যদিও নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এই ওয়েব সিরিজ বেছে নিয়েছেন তিনি। হয়ত এই ওয়েব সিরিজটাই তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যেতে পারে। আর যদি তার অভিনয় দর্শকদের পছন্দ না হয় তাহলে আবার নিজেকে শুরু থেকে তৈরি করবেন তিনি বলে জানিয়েছেন।
এরপর ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠান মঞ্চে গান গাইতে গিয়ে ব্যাপক কটাক্ষের শিকার হন তিনি। তাহলে কটাক্ষবিদ্ধ হয়ে কেন গান করেন তিনি? এই বিষয়ে অভিনেত্রীর স্পষ্ট জবাব যারা তাকে নিয়ে যায় তারা খুব ভালোভাবেই অবগত যে তিনি ইন্ডিয়ান আইডল বা সুপার সিঙ্গার থেকে উঠে আসেননি। তিনি অভিনেত্রী। তিনি শুধুমাত্র অভিনয় টুকুই পারেন। গান নয়। কিন্তু গান বিনোদনের অংশ। আর সেই বিনোদন দেওয়াটাই তাদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাজ। আর এই কাজের জন্যই ভালো টাকা পান তারা। অভিনেত্রীর কথায় ‘পয়সা বোলতা হ্যায়।’
একইসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অনেক সময় গলায় ব্যথা থাকে, গলা বসে থাকে কারণ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে তাকে অনেক সময় বিভিন্ন সভা মঞ্চে বক্তৃতা দিতে হয় আর সেই সব করতে গিয়ে গলা ভেঙে যায়। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে তিনি অনুষ্ঠান করতে যাবেন না সেটাও বলতে পারেন না আয়োজকদের। কারণ তা বললে মঞ্চে আগুন লেগে যাবে। অভিনেত্রী স্পষ্ট কথা এই ইন্ডাস্ট্রিতে তার থেকেও খারাপ গায়িকা আছেন। তিনি তাদের অনুষ্ঠান দেখেছেন। গানও শুনেছেন। যদিও তাদের নাম তিনি নিতে চাননি। অভিনেত্রীর কথায় তিনি সমালোচকদের এবং সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করেন। আর তাইতো তিনি বলেন, ‘শিরায় শিরায় রক্ত আমি ট্রোলিংয়ের ভক্ত!’