কখনও বাথরুম থেকে ছবি আবার কখনও অর্ধেক খোলা বু’ক! সোশ্যাল মিডিয়ায় রোজই ট্রলের শিকার মধুমিতা সরকার! অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী
ইন্ডাস্ট্রির এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন মধুমিতা সরকার। একসময় ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন বিশাল। আর তারপরই বড় পর্দায় উঁকি মারেন তিনি। একের পর এক কাজ করে গিয়েছেন অভিনেত্রী। ওয়েব সিরিজেও তিনি সমান তালে গান করেছেন। ‘কেয়ার করি না’, ‘বোঝে না সে বোঝো না’ সহ বেশ কয়েকটি বাংলা সিরিয়ালে কাজ করেছেন মধুমিতা সরকার।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘বোঝে না সে বোঝো না’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজের অভিনয় দক্ষতায় মুঠোফোনের দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন মধুমিতা সরকার। চলতি বছরে চিনি ২-তে শেষ দেখা গিয়েছে তাঁকে। অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই অ্যাক্টিভ মধুমিতা।
ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত হোক বা ফটোশ্যুট কিংবা রিল ভিডিও, শেয়ার করতে ভোলেন না তিনি কখনও। এভাবেই ভক্তদের কাছাকাছি থাকার ট্রিকসটা বেশ ভালোই অর্জন করেছেন। বারংবার ইনস্টা, ফেসবুকে রিল বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন অভিনেত্রী মধুমিতা। পাশাপাশি প্রায় সময় ট্রোলের শিকার হন। সম্প্রতি তাঁর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যা ‘চোখের বালি’ ছবিটির কথা মনে করিয়ে দেয়।
সাদা শাড়িতে বিধবার বেশ ধারণ করেন মধুমিতা। গলায় তাঁর রয়েছে কণ্ঠী, হাতে সূতো দিয়ে বাঁধা রুদ্রাক্ষ। কিছু নেটিজেনদের কাছে বিনোদিনী তকমা পেয়েছেন টলিউড সুন্দরী। এর আগে তিনি বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বো’ল্ড অবতারে ছবি দিয়েছেন। তবে এবার সেসব ছেড়ে এক্কেবারে বিনোদিনী লুকে ধরা দেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। আর তাই নেটপাড়ার প্রশ্ন ‘মধুমিতার হলটা কী!’
সাথে কেউ কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘চারি দিকে যা বালি চুরি হচ্ছে চোখের বালি সাবধানে থেকো’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘বিয়ে হওয়ার আগেই কি মধুমিতাদি বিধবা হয়ে গেছে?’এমনই নানান কথা উঠে এসেছে। অভিনেত্রী এ বিষয়ে জানান, এটি ছিল তাঁর কেবলই একটি ফটোশ্যুট। পাশাপাশি ট্রোলিংয়ের বিষয়েও এবার মুখ খোলেন মধুমিতা। বলেন, ‘আমি এসব নিয়ে মাথাই ঘামাই না। যাঁরা ট্রোল করছেন তাঁরাই ভাবুক। আমি জানি, আমার লক্ষ্য কী, আমি কাদের অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে চাই।’
View this post on Instagram