কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ের (Kashmir Pahalgam Bloodshed) হিন্দুদের উপর ঘটে যাওয়া চরম দুঃখের ঘটনার পর সঙ্গীত শিল্পী ‘অরিজিৎ সিং’ (Arijit Singh) তার চেন্নাই কনসার্ট বাতিল (Concert Cancelled) করেন চলতি সপ্তাহেই। ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত ছিল, কিন্তু পরিস্থিতির গভীরতা বুঝে তিনি নিজের অনুরাগীদের উদ্দেশে সরাসরি ঘোষণা করেন যে এই মুহূর্তে গান শোনাবার মানসিকতা নেই তাঁর। এর সাথে তিনি টিকিটের পুরো মূল্য ফেরত দেওয়ারও ব্যবস্থা করেন, যাতে শ্রোতারা কোনো অভিযোগ না থাকে।
অরিজিতের এই সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন মানবিকতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তেমনি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার আরেক বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ‘শ্রেয়া ঘোষাল’ (Shreya Ghoshal) ও কিছুটা সেই একই পথে হাঁটলেন। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর তিনি ঠিক করলেন তার গতকালের, অর্থাৎ ২৬ এপ্রিলের কনসার্ট বাতিল করবেন। গান শোনাবার দিন এটা নয়! এমন চিন্তা থেকেই শ্রেয়া তাঁর অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্ধ করে দেন।
শুধু অনুষ্ঠান বাতিল করেই থামেননি, শ্রোতাদের কাছে টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি দেশের শোকাহত পরিস্থিতিতে কিছুটা সহানুভূতি এবং মানবিকতার চিত্র তুলে ধরলেন। শ্রেয়ার এই পদক্ষেপে তাঁর অনুরাগীরাও গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছেন, এবং সামাজিক মাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। অরিজিত ও শ্রেয়া এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, একজন প্রকৃত শিল্পী শুধু গানেই নয়,
তাঁর কার্যক্রম ও অনুভূতিতেও শ্রোতাদের কাছে নিখুঁত। শ্রোতাদের সমবেদনা ও সহানুভূতির প্রতিফলন সঙ্গীতের চেয়ে অনেক বড় কিছু হতে পারে, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। কিছু অনুরাগীদের মতে, “এনাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।” এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে এই শিল্পীরা সত্যিকার অর্থে তাদের শ্রোতাদের মনে একটি আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। সমাজ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল এই দুই সংগীতশিল্পী, তাঁদের ব্যতিক্রমী চিন্তাধারার জন্য।
আরও পড়ুনঃ আদৃত-শুভলক্ষ্মীর সম্পর্কে ফের হাজির মোহনা! মোহনার সঙ্গে বাড়ছে দূরত্ব, অন্যদিকে শুভ লক্ষ্মীর সঙ্গে এবার কি ভাঙনের ইঙ্গিত?
প্রসঙ্গত আগের বছর আর.জি.কর মেডিকেল কলেজের তিলোত্তমা কাণ্ডের প্রতিবাদেও সংগীতের মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছিলেন অরিজিৎ এবং শ্রেয়া। দেশের এই শোকাহত পরিস্থিতিতে এইবার কনসার্ট বাতিলের মাধ্যমে প্রতিবাদের নতুন অর্থ বেছে নিলেন তারা। ভবিষ্যতে সংগীতের পথে প্রতিবাদ জানান কিনা সেটা সময়ই বলবে, তবে প্রকৃত শিল্পী সত্তা হয়তো একেই বলে। আপনাদের মতামত জানতে ভুলবেন না কিন্তু!