সম্প্রতি ‘সুদীপ মুখোপাধ্যায়’ (Sudip Mukherjee) এবং প্রাক্তন স্ত্রী ‘সঞ্চারী চক্রবর্তী’ (Sanchari Chakraborty) ফের খবরের শিরোনামে। বেশ কিছুদিন আগেই নিজের বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) কথা প্রকাশ্যে আনেন তিনি। যদিও প্রথম দিকে অভিনেতা এই বিষয়ে মুখ না খুললেও পরে বিষয়টি স্বীকার করে নেন। নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ সবার সামনে তুলে ধরে সমাজ মাধ্যমেই প্রথম জানিয়েছিলেন সঞ্চারী। তার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে একের পর এক বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না।
সঞ্চারীর সমাজ মাধ্যমের পাতায় নাম পরিবর্তন নিয়েও সম্প্রতি নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আগে যেখানে দেখা যেত ‘পৃথা চক্রবর্তী’ নামে, হঠাৎ করেই সেটি হয়ে যায় ‘সঞ্চারী’। অনেকেই ভেবেছিলেন, এটি হয়তো নতুন জীবনের প্রতীক, আবার কেউ কেউ এটিকে বুঝতে পারেন বিতর্ক এড়িয়ে চলার কৌশল হিসেবে। বাস্তবে অবশ্য তিনি কখনো এ নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। বিচ্ছেদের পর থেকে সঞ্চারী নানা ভাবে আলোচনার কেন্দ্রে।
সমাজ মাধ্যমে তিনি যেমন নিজেকে তুলে ধরছেন, তেমনই অনেক মানুষও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করছেন। অনেকে আবার তাঁকে নানা ধরনের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, যা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সঞ্চারী নিজেই। সেই কারণেই হয়তো ব্যক্তিগত পরিসর বাঁচিয়ে চলার জন্য এমন প্রতিক্রিয়া। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে, বিবাহ বিচ্ছেদ হতে না হতেই ডেটিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন তিনি! এই ঘটনার পেছনে সত্যতা কি?
আবার এক নতুন সমস্যার মুখোমুখি হলেন সঞ্চারী। এক ডেটিং অ্যাপে নিজের ছবি দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিস্তৃত পোস্ট করে নিজের বিরক্তি জানান। তাঁর অভিযোগ, কেউ একজন তাঁর অনুমতি ছাড়াই একটি ভুয়ো প্রোফাইলে তাঁর ছবি ব্যবহার করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সঞ্চারী অনুরোধ করেন, কেউ যেন এমন কোনো সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট দেখলে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করে দেন।
আরও পড়ুনঃ “আমার কেউ নেই, কোনওদিনই আর ফেরার পরিকল্পনা নেই”, “আমি পয়সার জন্য কাজ করি না, বরং কাজের জন্য পয়সা পাই”— প্রচারে নয়, অভিনয়ে বিশ্বাসী তিনি! জীবন নিয়ে অকপট সব্যসাচী!
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সঞ্চারী আর সুদীপকে একসঙ্গে ছেলেদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে দেখা গিয়েছিল। তারপরেই এই সমস্ত ঘটনাই আবার প্রমাণ করে দিল, তারকা জীবন কেবল ক্যামেরার ঝলকানিতে ঘেরা নয়, ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোও হয়ে ওঠে সবার আলোচনার বিষয়। সঞ্চারীর এই সতর্কতা কেবল নিজের জন্য নয়, সমাজের সকল নারীদের জন্যই এক ধরনের বার্তা, নিজের পরিচয় ও সম্মান বাঁচাতে সোচ্চার হওয়া জরুরি।