কালীপুজোর উৎসব মানেই শহরজুড়ে আলো, আনন্দ আর নতুন পোশাকের ছোঁয়া। কিন্তু এই উজ্জ্বলতা কখনও কখনও ঢেকে দেয় কিছু পরিবারের ছোট ছোট দুর্ভোগকে। এবছর আবারও সেই আলো-আনন্দের মধ্যেও কলকাতার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এলেন।
উৎসবের সময় সবচেয়ে কষ্ট পান অনিন্দিতার বাড়ির ছোট মেয়ে আর তাদের প্রিয় পোষ্যটি। শব্দবাজির আওয়াজে এই দু’জন যেন অসহায় বোধ করে। সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যমে সেই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী। পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেল— ছোট কন্যা আর পোষ্য ঠিক পাশাপাশি মুখ গুঁজে শুয়ে, যেন তারা আতঙ্কে রয়েছে ।
শুধু নিজের অনুভবেই থেমে থাকেননি অনিন্দিতা। স্মৃতি হাতড়ে জানিয়েছেন— ছোটবেলায় তিনিও পাড়ার দাদাদের হাতে শব্দবাজি ফাটাতে দেখেছেন। চকোলেট বোম ফাটানোও চেনা দৃশ্য ছিল তখন। তবু তার মানে এই নয়, আগের দিনে শব্দবাজি হত না। বরং তখনকার মানুষের মধ্যে মানসিকতা, সহানুভূতি আর মূল্যবোধ আরও বেশি প্রবল ছিল বলে মনে করেন তিনি।
অভিনেত্রীর বক্তব্য, সময় বদলেছে, বদলেছে মানুষের মনোভাবও। আগে কোথাও অসুস্থ বা ছোট শিশু থাকলে পাড়ার বড়দের নজর থাকত, বাজি ফাটাতে মানা করতেন তাঁরা। অবাধ্য হলে সকলে মিলে শাসন করতেনও। সেই দিনের অন্তরঙ্গতা, সহিষ্ণুতা আজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। অনিন্দিতা খোলাখুলিভাবে লিখেছেন, “আমিও এখন এসব বড় বড় কথা মোবাইলের আনলিমিটেড ইন্টারনেটেই লিখছি, অথচ সহানুভূতি কমে গিয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ “মা চলে যাচ্ছে, আমি হাসছি ক্যামেরার সামনে!” “মা হাসপাতালে ভর্তি, তবু স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করেছি… আমায় বলেছিল টিআরপি পড়ে যাচ্ছে তাই বাদ!”— মায়ের মৃ’ত্যুর যন্ত্রণা নিয়েও অভিনয় করেছেন শ্রীপর্ণা! ফিরে এসে জানালেন, মাঝপথে ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণা!
শেষমেশ, তিনি একটাই আবেদন রেখেছেন সকলের কাছে— দীপাবলির আলো যেন কারও অন্ধকার হয়ে না দাঁড়ায়। উৎসবের খুশি নিজেদের মতো উপভোগ করলেও চারপাশের মানুষ, বিশেষত অসহায় প্রাণীদের বিরক্তি যেন ভেবে দেখা হয়। কারণ, আলোর উৎসবের মধ্যে যন্ত্রণা যেন কারও আনন্দ কেড়ে না নেয়।