নির্ধারিত সীমার তিনগুণ মদ খেয়ে মানুষ মেরেছেন পরিচালক ভিক্টো! মুখ খুললেন অনিন্দ্য

ঠাকুরপুকুরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নেশা বিতর্কে উত্তাল টলিপাড়া। গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে নেশা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। এক সংবাদমাধ্যমে নিজের কলামে তিনি জানিয়েছেন, নেশা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এবং কীভাবে এক সময় সেই অন্ধকার জগতের মধ্যে ছিলেন তিনিও।

অনিন্দ্য লিখেছেন, ঠাকুরপুকুরের ঘটনার খবর পেয়ে হতবাক হয়ে যান তিনি। ফোনে পরিচিত একজন তাঁকে জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনার সময় ভিক্টোর অবস্থা ঠিক কীরকম ছিল। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, এই ঘটনা টলিউডের কাছে নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তবু কেউ শিক্ষা নেননি, সেটাই দুঃখজনক বলে মনে করছেন অভিনেতা।

নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে অনিন্দ্য জানিয়েছেন, তিনিও একসময় নেশায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ের লড়াইটা কতটা কঠিন ছিল, তা কেবল ভুক্তভোগীই জানেন। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, এখন পার্টিতে গেলেও তিনি মদ্যপান তো দূরের কথা, নেশার জিনিসের ধারেকাছেও যান না। কারণ তিনি জানেন, একবার ওই পথে পা রাখলে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা কতটা কঠিন।

ভিক্টোর প্রসঙ্গে অনিন্দ্যর মন্তব্য, “আমি শুনেছি ভিক্টো আগেও রিহ্যাবে ছিলেন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বেরিয়েও যদি আবার তিনি নেশায় জড়িয়ে পড়ে থাকেন, তবে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পার্টি, মদ্যপান এসব হতেই পারে। কিন্তু তা সামলে চলার বোধ থাকা খুব জরুরি।”

আরও পড়ুনঃ “ট্রায়াল দিয়ে জামাকাপড় কেনার মতো হয়ে উঠেছে এখন যৌনমিলন!” টলিউডের বর্তমান সম্পর্কের বিচ্ছেদ আর বাস্তবতা নিয়ে বিস্ফোরক অনুরাধা!

সবশেষে অনিন্দ্যর বার্তা, “নেশা করা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু যদি কোনওদিন বোঝেন আপনার নেশা অন্যদের সমস্যায় ফেলছে, তবে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের কাছে যান। সংকোচ বা লজ্জা নয়, বরং জীবনের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকা প্রয়োজন। কারণ জীবনটা বড় সুন্দর, তাকে নষ্ট করে ফেলার কোনও মানে হয় না।”