ছোটপর্দার অতি পরিচিত মুখ ‘দেবপর্ণা পাল চৌধুরী’ (Debaparna Paul Chowdhury) , একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকের অনু চরিত্র হোক বা ‘মেয়েবেলা’র চাঁদনী, প্রতিটি চরিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ সময় ধরে টেলিভিশনের পর্দায় কাজ করে চলেছেন তিনি, আর তার পথচলার প্রতিটি ধাপেই রয়েছে সংগ্রাম আর অধ্যবসায়।
কিন্তু কেরিয়ারের শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না দেবপর্ণার জন্য। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজেই বলেছিলেন, একসময় এমন দিন কেটেছে, যখন সকাল সাতটায় সেটে হাজির থাকলেও রাত এগারোটা পর্যন্ত তাকে বসিয়ে রাখা হত—ডাকা তো দূর, অভিনয় করতেই দিত না। তখনও মুখে হাসি ধরে রেখে ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করেছেন, কারণ জানতেন—এই যাত্রাপথ সহজ নয়, তবুও ভালোবাসা থাকলে জয় একদিন হবেই।
‘উড়ান’, ‘পুণ্যি পুকুর’, ‘প্রতিদান’, ‘সুবর্ণলতা’, ‘ভানুমতীর খেল’ কিংবা ‘ত্রিনয়নী’—প্রতিটি ধারাবাহিকে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। দেবপর্ণার চরিত্রের পরিসর যতই ছোট হোক না কেন, প্রতিটি দৃশ্যে তিনি নিজের অভিনয়ে রেখেছেন স্পষ্ট ছাপ। অভিনয়ের পাশাপাশি এখন তিনি অ্যাক্টিং শেখান। নিজের অভিজ্ঞতা নতুন প্রজন্মের সঙ্গে ভাগ করে নেন, যাতে তাদের পথ কিছুটা হলেও সহজ হয়।
এই জনপ্রিয়তার পিছনে রয়েছে অজস্র অসম্মান, অবহেলা আর না বলা কষ্ট। অভিনয় জগতে টিকে থাকা মানে শুধু ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা নয়, তার পেছনে থাকে বহুদিনের অপেক্ষা, অশ্রু, আর অবহেলার গল্প। কিন্তু দেবপর্ণা হাল ছাড়েননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, সবার সামনে প্রমাণ করেছেন—টেলিভিশনের পর্দায় যদি সত্যিকারের প্রতিভা থাকে,
আরও পড়ুনঃ সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে মা হতে চলেছেন তিনি! আর এরই মাঝে নতুন শুরুর ঘোষণা ‘মিশকা’ খ্যাত অহনার
তবে কোনও কিছুই থামিয়ে রাখতে পারে না। আজ তিনি শুধু একজন সফল অভিনেত্রী নন, একজন লড়াকু শিল্পীরও প্রতিচ্ছবি। আজ তিনি আগের থেকে অনেক স্বাবলম্বী এবং ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিক তুলে ধরতে পিছু পা হননা! দেবপর্ণার জীবনের সেই অধ্যায় নতুনদের কাছে এক শিক্ষা, যে সফলতা রাতারাতি আসে না, ধৈর্য্য আর নিষ্ঠাই পারে তার দ্বার খুলতে।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!