এক মেয়ে নিয়ে, বন্ধুর ছেলেকে বিয়ে করেন বিদীপ্তা! বয়সের পার্থক্যকে হেলায় উড়িয়ে সফল দাম্পত্য বিরসা-বিদিপ্তার

টেলিভিশনের চর্চিত জুটি হিসেবে পরিচিত পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী। তাঁদের দাম্পত্য জীবন ১৫ বছরে পা দিল। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে একসঙ্গে পথচলা চলছে। এই বিশেষ দিনটি তাঁরা কেক কেটে উদযাপন করেছেন, যার ছবি বিরসা শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিদিপ্তার সঙ্গে বিরসার সম্পর্কের শুরুটা ছিল বেশ চমকপ্রদ। বিদিপ্তার বাবা ও বিরসার মা চৈতালি দাশগুপ্ত পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিদিপ্তা তাঁকে ‘কেয়া পিসি’ বলেই ডাকতেন। আর বিরসার বাবা, পরিচালক রাজা দাশগুপ্তর সঙ্গেও তাঁর পেশাগত যোগাযোগ ছিল। ফলে বিরসাদের বাড়িতে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল বহুদিন ধরেই।

বিদিপ্তা যখন প্রথমবার বিয়ে করেন, তখন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কিছু অস্থিরতা চলছিল। সেই সময়েই বিরসার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তাঁদের প্রথম দেখা হয় শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায়, যেখানে বিদিপ্তা তাঁর মেয়ে মেঘলাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে কেয়া পিসির পরিবারও উপস্থিত ছিল। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে বিদিপ্তা ও বিরসার কথা বলার সময় কেটে যায়, যেন অন্য সবকিছু থেকে তাঁরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় বিরসারও একটি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল, ফলে দুজনেই নিজেদের আবেগ ভাগ করে নিতে পেরেছিলেন।

সেই বন্ধুত্ব ক্রমশ গভীর হয়ে ওঠে এবং একসময় তাঁদের সম্পর্ক পরিণতি পায় বিবাহে। বিদিপ্তা ও বিরসার দাম্পত্য জীবনে মেঘলাও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। মেঘলা আজ বিরসার সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছে এবং তিনি নিজের নামের শেষে দাশগুপ্ত পদবিও ব্যবহার করেন।

বিয়ের পর বিদিপ্তা ও বিরসার আরও একটি কন্যাসন্তান হয়, যার নাম ইদার। দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁদের সংসার আজও ভালোবাসায় পূর্ণ। বিদিপ্তা তাঁর শাশুড়িকে ‘কেয়া পিসি’ বলেই ডাকেন, এবং এই সম্পর্কের উষ্ণতা এখনও অটুট। শাশুড়ির প্রতি তাঁর ভালোবাসা এতটাই গভীর যে তাঁকে ছাড়া বিদিপ্তার চলেই না।

আরও পড়ুনঃ বাংলা থেকে থেকে ফের বলিউডে বিরাট সুযোগ পেলেন জনপ্রিয় টেলি নায়িকা!

এই ১৫ বছরে তাঁদের দাম্পত্য আরও দৃঢ় হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিরসা ও বিদিপ্তার পারস্পরিক বোঝাপড়া ও ভালোবাসার প্রতিফলন দেখা যায়। বিরসা যে হাতে বিদিপ্তার হাত ধরেছিলেন সেই পৌষমেলায়, তা আজও শক্ত করে ধরে রেখেছেন—সময়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থেকেছে।