“আমার গায়ে হাত দিলে ওই হাত ভেঙে দেবো…সম্মান দাও, সম্মান পাবে!” “সম্পর্কে যতই ঝড় আসুক, গায়ে হাত তোলার তুমি কে?”— প্রাক্তন প্রেমিককে ইঙ্গিত করে ফের দেবচন্দ্রিমার তীব্র প্রতিক্রিয়া, নেটিজেনদের সমর্থনের বন্যা!

চলতি বছরের শুরুতেই কিরণ মজুমদারের (Kiran Mazumder) সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা সায়ন্ত মোদক (Sayanta Modak)। কিন্তু সেই সম্পর্কও বেশিদিন স্থায়ী হল না। হঠাৎ করেই ভাঙন দেখা দেয় তাদের মধ্যে। বিচ্ছেদের পর কিরণ সমাজ মাধ্যমে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন সায়ন্তের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, সম্পর্কে থাকাকালীন সায়ন্ত তাঁকে মানসিকভাবে চরমভাবে চাপে রাখতেন, এমনকি শারীরিক নির্যাতনও করতেন। শুধু তাই নয়, কিরণ জানান, তাঁর টাকায় দামি জিনিসপত্র কেনা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ— সবই করতেন সায়ন্ত।

এমনকী তাঁকে ভিডিও করতেও বাধা দেওয়া হত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই সমস্ত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে একসময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে ভিডিওতে কেঁদে ফেলেন কিরণ। এই অভিযোগের পর কিরণের পাশে দাঁড়ান অভিনেত্রী ‘দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়’ (Debchandrima Singha Roy)। একসময় সায়ন্তের সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন তিনি, যদিও সে সময় বিচ্ছেদের পর তেমন কিছু প্রকাশ্যে বলেননি। কিন্তু এবার কিরণের অভিযোগের পর দেবচন্দ্রিমা নিজের অভিজ্ঞতার কথাও শোনান। কিরণকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, “তোমার ওপরও হাত তুলেছে?

যদি জবাব দাও ‘হ্যাঁ’, তবে এবার আমি ওকে শেষ করে দেব।” তিনি আরও জানান, কিরণ যেন চিন্তা না করেন, কারণ তিনি নিজেই কলকাতায় আছেন এবং তাঁর পাশে আছেন। সায়ন্তের অতীত সম্পর্কের দিকে তাকালে দেখা যায়, দেবচন্দ্রিমার পর তিনি সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্রের সঙ্গে। সেই সম্পর্কও সুখের পরিণতি পায়নি। প্রিয়াঙ্কা বিচ্ছেদের পর প্রকাশ্যে বলেন, তাঁদের সম্পর্ক ছিল “টক্সিক”। সায়ন্তর সঙ্গে সব হিসাব মিটিয়ে নিয়েছেন প্রাক্তনরা আজ মাস তিনেক।

এদিন এক সাক্ষাৎকারে দেবচন্দ্রিমা আরও স্পষ্টভাবে নিজের মতামত জানান। তাঁর বক্তব্য, কোনও সম্পর্কেই একপক্ষের কষ্ট হওয়া উচিত নয়। যদি কারও ব্যক্তিত্বে বা মানসিকতায় কোনও ধরনের টক্সিসিটি থাকে, তবে সেটাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা উচিত। সম্পর্কের যতই খারাপ পরিস্থিতি আসুক না কেন, কারও গায়ে হাত তোলা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, “সে তুমি যেই হও না কেন, গায়ে হাত দেওয়ার তুমি কেউ না। আমার গায়ে হাত দিলে আমি হাত ভেঙে দেবো। সম্মান দাও, সম্মান পাবে।”

আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে টিজার যুদ্ধ! ‘রঘু ডাকাত’ বনাম ‘বিপ্লবী ডাকাত’, রূপালি পর্দায় আসছে দেব-জিৎ দুই ডাকাতের মুখোমুখি সংঘর্ষ! এবার দুর্গাপূজায় বক্স অফিসে ধুন্ধুমার! কোন ডাকাত জাগাচ্ছে বেশি উত্তেজনা?

এই মন্তব্যের পর অনেকেই দেবচন্দ্রিমার সাহসের প্রশংসা করছেন, আবার কেউ কেউ এই সপাট মন্তব্যে সমর্থন জানাচ্ছেন। তবে একাংশের মতে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের এই টানাপোড়েন প্রকাশ্যে আসায় তাঁর ভাবমূর্তিতেও বড় ধাক্কা লেগেছে। সম্পর্ক ভাঙার পেছনে যদি সত্যিই অভিযোগ সঠিক হয়, তবে তা তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে, কিরণ ও দেবচন্দ্রিমার বন্ধুত্ব এখন আরও দৃঢ় হয়েছে, এবং তাঁরা প্রকাশ্যে একে অপরের পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। এই সমর্থন অনেকের কাছেই নারী সংহতির এক শক্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।