‘আমার কাজই ট্রোলের জবাব দিয়েছে’, খাদান সাফল্যে টলিউডকে কড়া বার্তা দেব-এর

২০২৪-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়া ‘খাদান’ (Khadaan) বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে এক নতুন আলো ফেলেছে। মাল্টি স্টারকাস্ট ভিত্তিক এই ছবিটি, যেখানে অভিনয় করেছেন দেব, যীশু সেনগুপ্ত, ইধিকা পাল এবং বরখা সেনগুপ্ত, মুক্তির পর বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। ‘খাদান ম্যানিয়া’ এখন শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এবং দর্শকরা নতুন করে বাণিজ্যিক বাংলা ছবির স্বাদ পাচ্ছে।

এই ছবির সাফল্য বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে বাংলা বাণিজ্যিক ছবির জায়গা ছিল প্রায় শূন্য। দর্শকদের মনে এক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, আর কি কোনোদিন বাংলা চলচ্চিত্রে বাণিজ্যিক ছবি ফিরে আসবে? সেই শূন্যতার জায়গা পূর্ণ করেছে ‘খাদান’। একের পর এক হিট ছবির সাথে এই ছবিটি সেরা জায়গায় পৌঁছেছে এবং দর্শকরা বলছেন, এটি যেন বাণিজ্যিক ছবির হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে।

dev

আজকের এই সুপারস্টার প্রথম দিন থেকে কিন্তু সুপারস্টার ছিল না। অনেক ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। দেব, যাকে একসময় ‘তোতলা’ বলে কটাক্ষ করা হতো, তাকে নিয়ে মিম ও ট্রোল সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ছড়িয়ে পড়েছিল। কেউ বলত, দেব অভিনয়ে পারদর্শী নন, কেউ আবার কটাক্ষ করত তাঁর স্বাভাবিক কথা বলার ধরনকে। তবে দেব সবসময়ই এই ট্রোলগুলোর সঠিক জবাব দিয়েছেন। তিনি কাজের মাধ্যমেই নিজের শক্তি প্রমাণ করেছেন এবং এসব নিয়ে আর মাথা ঘামান না।

এখন দেব তাঁর পরিশ্রমের ফল ভোগ করছেন। ‘খাদান’-এর সাফল্য তারই প্রতিফলন। ছবিটি মুক্তির পরেই একের পর এক হিট রেকর্ড ভেঙে চলেছে। তার প্রচারে ভক্তদের উচ্ছ্বাসও ছিল নজরকাড়া। দেবের মতে, এই সাফল্যের পেছনে তাঁর ‘একটা ভিন্ন লক্ষ্য’ ছিল। তিনি জানালেন, ২০২৭-এর মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্রের ৫০ কোটি ব্যবসার লক্ষ্য অর্জন করতে চান। এবং এই লক্ষ্য পূরণের জন্য তিনি একে একে প্রতিটি বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলেছেন।

আরও পড়ুনঃ সংসারে আসছে নতুন অতিথি! মাতৃত্বের প্রকাশ রূপসার! ফটোশুটে ভক্তদের মুগ্ধ করলেন হবু বাবা-মা

দেব শুধু নিজেই নয়, ‘বিনোদিনী’-তেও আশাবাদী। তাঁর প্রযোজনায় এই ছবির জন্য তিনি রুক্মিণী মৈত্রর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন, তবে নিজের জন্য কোনো ক্রেডিট নিতে চান না। দেব বলেন, এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব পরিচালক এবং কাস্ট অ্যান্ড ক্রু-র। সেইসঙ্গে তিনি স্টার থিয়েটারের নামবদল করার জন্য রুক্মিণীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দেবের এই প্রতিশ্রুতি বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যতের নতুন পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবে, এমনটাই আশা করছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরা।