জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো এই পথ যদি না শেষ হয়। রাগী বাস্তববাদী গরিব ঘরের ছেলে সাত্যকির সঙ্গে বড়লোক বাড়ির হাসিখুশি মেয়ে উর্মির একসঙ্গে পথ চলা নিয়েই এই গল্প। রাত দশটায় হওয়া এই সিরিয়ালের দর্শক সংখ্যা অনেক। ধীরে ধীরে উর্মি সাত্যকিকে ভালোবেসে ফেলেছেন অনেকেই। তবে বর্তমানে সিরিয়ালে চলছে টানটান টুইস্ট।
উর্মির কাকা মামণির শয়তানিতে আজকে শ্লীল’তাহানীর দায়ে অভিযুক্ত সাত্যকি। অন্যদিকে তাকে ভুল বুঝেছিল উর্মি তাই দৌড়ে সবকিছু ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যায় সে। কোর্টে কেস ওঠে সেখানে সাত্যকির হয়ে লড়াই করার কাউকে পাওয়া যায় না। সিরিয়ালের দর্শকরা সকলেই ভেবেছিলেন এই অবস্থায় উর্মি বোধহয় সত্যিই ছেড়ে চলে গেছে সাত্যকিকে।
কিন্তু বর্তমানের সিরিয়ালের নতুন প্রোমো সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে সাত্যকিকে বাঁচাতে এবার উকিলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে উর্মি নিজে। এই প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে যে মেয়েটি শ্লীল’তাহানীর মিথ্যা অভিযোগ করেছিল তার পক্ষের উকিল যখন গর্ব সহকারে বলছেন যে সাত্যকির ভাইয়ের লড়াই করার কেউ নেই তখন সবকিছুকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে আদালতে ঢোকে উর্মি পরনে তার উকিলের পোশাক। সে তার টুকাই বাবুকে কথা দেয় যে এই মিথ্যা অপবাদ থেকে তাকে বাঁচাবেই উর্মি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রোমো সামনে আসার পর থেকেই এই পথ যদি না শেষ হয় ভক্তদের মধ্যে নেমেছে খুশির ঢল। তারা বলছেন যে আমরা তো জানতাম উর্মি কখনো তার টুকাই বাবুকে ছেড়ে যেতেই পারে না।তবে এর মাঝখানে কয়েকজন আছেন যারা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন ওকালতি না পড়ে ট্যাক্সি চালানো শিখে উর্মি কী করে উকিল হয়ে যায়? তবে অনেকেই এক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেছেন এবং জানিয়েছেন আসল সত্যি। আসলে এডভোকেটস অ্যাক্ট অফ ইন্ডিয়া:সেকশন 32 অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি তার প্রিয়জনের হয়ে কেস লড়তে পারে। তিনি আইনজীবী না হওয়া সত্ত্বেও আদালত তাকে অনুমতি দিতে পারে। প্রিয়জনের হয়ে কেস লড়ার জন্য আদালত থেকে নিতে হবে শুধুমাত্র একটি অনুমতি। এমন কি কোন ব্যক্তি নিজের জন্য নিজেই কেস লড়তে পারেন। তাই এখন উর্মি নিজের বুদ্ধি দিয়ে সত্যি ঘটনা কে সামনে আনতে পারে কিনা সেটাই দেখার।