বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় ফের চাঞ্চল্য। জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা এবং অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৯.০৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন আরও একাধিক পরিচিত মুখ।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সকলের নজর গিয়ে পড়ে অঙ্কুশ হাজরার প্রতিক্রিয়ার দিকে। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তাঁর আইনজীবী দেখছেন। এই মুহূর্তে তিনি নিজে কোনও মন্তব্য করতে চান না। আইনগত প্রক্রিয়ার উপরই ভরসা রাখছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিনেতা।
অন্যদিকে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া মিমি চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। ফোনে পাওয়া যায়নি অভিনেত্রীকে। মেসেজ পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেননি তিনি। ফলে তাঁর অবস্থান কী, তা নিয়ে কৌতূহল থেকেই যাচ্ছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগেই এই মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ এবং নেটপ্রভাবীরা। দক্ষিণী তারকা রানা দগ্গুবতী, বিজয় দেবেরাকোন্ডা থেকে শুরু করে কপিল শর্মার মতো নামও উঠে এসেছে তদন্তে। সেই প্রেক্ষিতেই অঙ্কুশের নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ “ঋষি কাপুরের সঙ্গে অদ্ভুত মিল আছে দেবের”, মহানায়কের পর এবার ঋষি কাপুরেরও সমতুল্য হয়ে উঠলেন দেব! কেন দেবকে কিংবদন্তির সঙ্গে তুলনা করলেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
তদন্তকারীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত তারকারা বেআইনি বেটিং অ্যাপের প্রচারের বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করা হয়েছে বলে সন্দেহ। সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে ঘোরানো হয়েছে বলেও দাবি ইডির। তদন্ত এখনও চলমান।






