ধ র্ষিত হতে হতে বেঁচেছেন! বাংলা সিনেমা থেকেও হারিয়ে গেলেন ইন্দ্রানী হালদার! রইল অন্ধকারময় কাহিনী

একটা সময় স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল শ্রীময়ী। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Leena Ganguly) লেখনীতে দীর্ঘ ৩বছরের‌ও বেশি সময় ধরে এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছে দর্শকদের। এই ধারাবাহিকে মুখ্য অভিনেত্রী ছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder) । ধারাবাহিক শেষ হলেও কিন্তু কোথাও জনপ্রিয়তার ভাটা পড়েনি ইন্দ্রানী হালদারের। আজ‌ও দর্শকদের কাছে তিনি সমানভাবে জনপ্রিয়। যদিও দীর্ঘদিন তাকে পর্দায় দেখেনি বাঙালি দর্শক। ‌

১৯৭১ সালের ৬ই জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। শুধু অভিনয় নয়, নাচেও অত্যন্ত পারদর্শী ইন্দ্রানী হালদার। তিনি প্রতিথযশা নৃত্য শিল্পী থাঙ্কুমনি কুট্টি’র কাছে ক্লাসিক্যাল নৃত্য শেখেন। ১৯৮৬ সালে, জোছনা দস্তিদারের বাংলা ধারাবাহিক তেরো পার্বণ থেকে অভিনেত্রীর অভিনয় জীবনের শুরু হয়।

অনবদ্য অভিনয়ে যিনি বারে বারে চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি পার করে ফেলেছেন প্রায় ৩৪ বছর। কিন্তু না গোলাপের পাপড়ি বিছানো ছিল না অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারের অভিনয় জীবনে পথ চলা। বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। রয়েছে প্রচুর সব তিক্ত স্মৃতি। আর একবার নিজের মুখেই সেই সমস্ত তিক্ত স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছিলে অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার।

বাংলার পাশাপাশি মুম্বাইতেও কাজ করে প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার। আর প্রথম যখন সেই মুম্বাইতেই কাজের জন্য গিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় অভিনেত্রীর। এক প্রযোজকের হাতে ধ র্ষিত হতে হতে নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েক যুগ পেরিয়ে এখন তিনি চূড়ান্ত সফল। কিন্তু সেই গভীর ক্ষত, সেই স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী।

মিটু আন্দোলনের বহু পূর্বে এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছিল তাকে? কী ঘটেছিল? অভিনেত্রীর বয়স তখন ২০। মুম্বাইয়ে শুটিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন। অভিনেত্রী সকালে গেলেও তার বাবার ফ্লাইট ছিল বিকেলে। তিনি যতবার‌ই গিয়েছিলেন তাকে ফাইভ স্টার হোটেলে রাখা হয়, কিন্তু তখন তাকে একটি সাধারণ হোটেলে রাখে প্রযোজনা সংস্থা। এরপর হঠাৎই প্রযোজক আসবেন তার কাছে বলে জানানো হয়। চমকে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

এরপর প্রযোজক আসেন এবং ঘরে ঢোকা মাত্রই ইন্দ্রানীর হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন। রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেইসময় প্রযোজক নিজের পো শাক খুলতে শুরু করেন। ধ র্ষিত হবেন? এই আশঙ্কা দেখা দেয় অভিনেত্রীর মনে। সেই মুহূর্তে একটি ফোন এসে। উল্টোদিকে প্রযোজকের স্ত্রীর কণ্ঠস্বর। ইন্দ্রানী সেই সুযোগে বুঝে দরজার লক খুলে দেন এবং কাশতে থাকেন। প্রযোজক আঙ্গুলের ইশারায় চুপ করতে বলেন। না আর কাজ করেন নি তিনি।কম্প্রোমাইজ করে কখনই তিনি কাজ করতে চাননি। যদিও সেই প্রযোজক তাকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন তিনি নাকি কখনই জীবনে সাফল্য পাবেন না। যদিও পরবর্তীতে জীবনের চূড়ান্ত সফল হয়েছে ইন্দ্রানী হালদার। না প্রযোজকের নাম সামনে আনেননি তিনি। জানিয়েছেন সেই ব্যক্তি এখন মৃত।